প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৩ ১৭:৫৭ পিএম
আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৩ ১৮:৫৭ পিএম
ভারতের পিএমওর কথিত অতিরিক্ত পরিচালক যিনি কিরণ ভাই প্যাটেল নামে পরিচিত। ছবি : সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে দিব্যি ঘুরে
বেড়াচ্ছেন। সুবিধা নিচ্ছেন সরকারি প্রটোকলের। বড় বড় সব ব্যক্তির সঙ্গে করছেন ওঠাবসা।
অথচ জীবনেও সেই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ভেতরেও ঢুকেননি। এমনই এক নজিরবিহীন
প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে ভারতে।
জম্মু ও কাশ্মিরের পুলিশ এমন এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছেন যিনি নিজেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কার্যালয় (পিএমও) অফিসের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে নিজেকে দাবি করেছিলেন। তবে ঠিক কবে নাগাদ তাকে গ্রেপ্তার
করা হয়েছে, তার বিস্তারিত জানানো হয়নি।
গ্রেপ্তারের আগে এই মিথ্যা পরিচয় কাজে লাগিয়ে কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মিরের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন।
অভিযুক্ত প্রতারক কিরণ ভাই প্যাটেল নামে পরিচিত। নিজেকে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক হিসেবে পরিচয় দিতেন। একটি সূত্র জানিয়েছে, এই পরিচয়ে কিরণ প্যাটেল গত বছরের অক্টোবর থেকে কাশ্মির উপত্যকা সফর করছিলেন। এমনকি উরির কামানপোস্ট দিয়ে তিনি পাক সীমান্ত তথা নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) কাছেও চলে গিয়েছিলেন।
শ্রীনগরের নিশাত থানায় দায়ের করা এফআইআরে উল্লেখ করা হয়, তিনি কাশ্মির উপত্যকার বিভিন্ন অংশে কার্যকলাপ চালাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি সরকারি আতিথেয়তার সুবিধাও উপভোগ করেছিলেন। তার জন্য বিলাসবহুল হোটেল রুমের পাশাপাশি একজন ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তাও (পিএসও) নিযুক্ত করা হয়েছিল।
কিরণ প্যাটলের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা করা হয়েছে। পুলওয়ামার ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) বশির উল হক ও পুলিশ সুপার জুলফিকার আজাদকেও জম্মু ও কাশ্মির পুলিশের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে, তারা কেন আগেই প্রতারককে ধরতে পারেনি।
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে