প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৩ ১৮:১৮ পিএম
আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৩ ২১:১৭ পিএম
ভ্লাদিমির পুতিন ও শি জিনপিং। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বেইজিংয়ে। ছবি : সংগৃহীত
চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সোমবার দুই দিনের সফরে মস্কো যাচ্ছেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আমন্ত্রণেই তিনি সেখানে যাচ্ছেন। মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট সমাধানের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে শি মস্কো যাচ্ছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে আল জাজিরার এক মন্তব্য প্রতিবেদনে।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাতে বেইজিং থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক কারাতিনা ইয়ু বলেন, ‘রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি ফেরানোই শির মস্কোর সফরের প্রধানতম উদ্দেশ্য। রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট নিয়ে শুরু থেকে চীন একই অবস্থানে রয়েছে। চীন শুরু থেকে আলোচনার কথা বলছে। কূটনৈতিকভাবেই সংকট সমাধানের ওপর জোর দিচ্ছে।’
ইউক্রেন যুদ্ধের ইতি টানতে গত মাসে একটি প্রস্তাব পেশ করে চীন। এতে সব পক্ষের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান দেখাতে আহ্বান জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সংকট সমাধানে আন্তরিক হতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। আর রাশিয়ার নিরাপত্তা উদ্বেগকে যথাযথভাবে আমলে নিতে বলা হয়েছে।
চীনা প্রস্তাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও কিছু পশ্চিমা দেশে অনাস্থা প্রকাশ করলেও স্বয়ং ইউক্রেন আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এমনকি প্রস্তাবটি প্রকাশের পর চীন সফরের সম্ভাবনার কথাও বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
কারাতিনা ইয়ু বলেন, ‘সৌদি ও ইরানের মধ্যে সাত বছরের অচলাবস্থার অবসান ঘটিয়ে গত সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্যের এই দুই শক্তিশালী দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে মধ্যস্থতা করে সাফল্য দেখিয়েছে চীন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো চীনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে।
‘সেই সফলতার উত্তাপ না কমার আগেই আরেকটি সফলতার মাইলফলক স্পর্শ করতে চায় বেইজিং। শির মস্কোর সফর সেই বড় পরিকল্পনার অংশ। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারী ও বিশ্ব শক্তি হিসেবে নিজের অবস্থানকে একটা বিশেষ অবস্থানে নিয়ে যেতে চাইছে চীন। তারা দেখিয়ে দিতে চায়, যুক্তরাষ্ট্র যা পারে না, তা চীন পারে।’
সূত্র : আল জাজিরা