× ই-পেপার প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত ফিচার শিল্প-সংস্কৃতি ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

পুতিন কি আদৌ গ্রেপ্তার হবেন?

প্রবা প্রতিবেদন

১৯ মার্চ ২০২৩ ০৯:১২ এএম

ভ্লাদিমির পুতিন।

ইউক্রেন যুদ্ধ প্রশ্নে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

আদালতটি বলছেন, এককভাবে এ অভিযোগ আনার পেছনে যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, আদৌ কি পুতিনকে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা সম্ভব? নেদারল্যান্ডসের হেগে কি তার বিচার হতে দেখা যাবে?

যেভাবে হতে পারে

নিয়মানুযায়ী আইসিসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর এখানে পদক্ষেপ নিতে হবে এবং পুতিন তাদের দেশে পা রাখলে তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে। সব মিলিয়ে আইসিসি সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা ১২৩। আইসিসির নিজস্ব কোনো পুলিশ বা বাহিনী নেই। তারা সম্পূর্ণরূপে সদস্য রাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল।

আইসিসি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরও নিয়মের ব্যত্যয় হতে দেখা গেছে অতীতে, যেমন- সুদানের সাবেক নেতা ওমার আল-বাশির আইসিসির পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বেশকিছু দেশে সফর করেছিলেন। এমনকি ২০১৯ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরও তাকে বিচারের জন্য আইসিসির হাতে তুলে দেয়নি সুদান।

পুতিন হয়তো এক্ষেত্রে নিজ আন্তর্জাতিক সফর নিয়ে কিছুটা সমস্যার মুখে পড়তে পারেন। কলম্বিয়া ল স্কুলের অধ্যাপক ম্যাথিউ ওয়্যাক্সম্যান বলেছেন, ‘আইসিসি খুবই উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছেন, কিন্তু পুতিনকে আমরা গ্রেপ্তার হতে দেখব, এমন সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।’

মূল প্রতিবন্ধকতাগুলো কী 

প্রথম এবং সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতাটিই হলো যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মতো রাশিয়াও আইসিসির সদস্য নয়। এমনকি ইউক্রেনও সদস্য নয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে শুধু কিয়েভ আদালতটির এখতিয়ার মেনে নেওয়ার কারণে অভিযোগ দায়ের করতে পেরেছেন আইসিসি।

রাশিয়া অবশ্য আইসিসি প্রতিষ্ঠার সময় স্বাক্ষর দিয়েছিল। কিন্তু পরে পুতিনের নির্দেশে তারা সে স্বাক্ষর প্রত্যাহার করে নেয়। এর পেছনে মূল কারণ ছিল জর্জিয়ায় ২০০৮ সালে কোনো যুদ্ধপরাধ হয়েছে কি না, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছিলেন আইসিসি।

মস্কো এরই মধ্যে পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসির জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা খারিজ করে দিয়েছে। এ ছাড়া এমনিতেও রাশিয়া নিজেদের কোনো নাগরিককে কখনোই অন্য দেশের হাতে প্রত্যর্পণ করে না। ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘রাশিয়া এই আদালতের এখতিয়ারে স্বীকৃতি দেয়নি এবং আইনি দিক থেকে বিচার করলে এ আদালতের সিদ্ধান্তের কোনো গুরুত্ব নেই।’

লেইডেন ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সরকারি আইনের সহকারী অধ্যাপক সেসিলি রোজে বলেন, রাশিয়ায় শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তন না এলে পুতিনকে যুদ্ধপরাধের জন্য গ্রেপ্তার হতে দেখার সম্ভাবনা নেই।

শীর্ষ পদস্থরা কি বিচারের মুখোমুখি হন

আইসিসির আইনজীবী করিম খান জানিয়েছেন, নিজেকে আইনের ঊর্ধ্বে ভাবতেন এমন অনেক ব্যক্তি নিজেদের আদালতের সামনে আবিষ্কার করেছেন। যেমন- লাইবেরিয়ায় যুদ্ধনেতা থেকে প্রেসিডেন্ট হয়ে যাওয়া চার্লস টেইলর।

২০১২ সালে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। এ তালিকায় রয়েছেন সার্বিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট স্লোবোডান মাইলোসেভিকও। তিনি ২০০৬ সালে হেগে নিজ কারা প্রকোষ্ঠেই মারা যান।

বসনিয়ার নেতা রাদোভান কারাদজিককেও ২০০৮ সালে আটক করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে জেনোসাইডের অভিযোগ আনা হয়। পরে ২০১১ সালে তার সামরিক নেতা রাটকো ম্লাদিককেও গ্রেপ্তার করা হয় এবং যাবজ্জীবনে দণ্ডিত করা হয়।

আর কোনো বিকল্প আছে? 

অভিযুক্তের অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ চালান না আইসিসি। তবে খান বলছেন, তাদের হাতে ব্যবস্থা নেওয়ার মতো অন্যান্য বিকল্প রয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি জোসেফ কনির প্রসঙ্গ টানেন। ‘লর্ডস রেজিস্ট্যান্স আর্মি’র এ নেতা উগান্ডায় রক্তক্ষয়ী বিদ্রোহ শুরু করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিশ্চিতে আইসিসি বিচারকরা তার অনুপস্থিতিতেই শুনানি করেন। কোনি এখনও মুক্ত অবস্থায় আছেন।

খান বলছেন, বর্তমানের পুতিনের মামলাসহ অন্যান্য মামলার ক্ষেত্রেও অবলম্বন করা যেতে পারে ওই প্রক্রিয়া। সূত্র : এএফপি

শেয়ার করুন-

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯, +৮৮০১৮১৫৫৫২৯৯৭ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা