হিমবাহটি সম্পূর্ণ গলে গেলে তা সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে পরিমাপযোগ্য অবদান রাখবে। ছবি : সংগৃহীত
আলাস্কার সবচেয়ে আইকনিক হিমবাহগুলোর মধ্যে একটি হলো মালাস্পিনা হিমবাহ। এই হিমবাহটি বিশদভাবে স্ক্যান করে দেখা গেছে, এই হিমবাহের বেশিরভাগ অংশ সমুদ্রপৃষ্ঠের নিচে অবস্থিত এবং এর তলদেশে বেশ কিছু পানিপ্রবাহের চ্যানেল সৃষ্টি হয়েছে। অর্থাৎ এটি নিচ থেকে গলছে এবং পূর্ব ধারণার চেয়ে দ্রুতগতিতে গলছে।
এই হিমবাহটি সম্পূর্ণ গলে গেলে তা সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে পরিমাপযোগ্য অবদান রাখবে। জেজিআর আর্থ সারফেস সাময়িকীতে প্রকাশিত নতুন গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি শতাব্দীর মধ্যে আলাস্কার হিমবাহ থেকে সবচেয়ে বড় বরফখণ্ডটি ব্যাপক ক্ষতির শিকার হতে পারে।
গবেষণার প্রধান লেখক ইউঅ্যারিজোনা ডিপার্টমেন্ট অব জিওসায়েন্সেসের ব্র্যান্ডন টোবার ও তার সহকর্মীরা তাদের গবেষণায় অ্যারিজোনা রেডিও ইকোহ (echo) সাউন্ডার (এআরইএস) ব্যবহার করেছেন। এর আগে এই এআরইএস যন্ত্রটি নাসা অর্থায়িত একটি মিশনে ব্যবহার হয়েছিল। নাসার ওই মিশনে ২০০৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে গ্রিনল্যান্ড, আলাস্কা এবং অ্যান্টার্কটিকার হিমবাহ, সমুদ্রের বরফ এবং বরফ আস্তরনের (আইসশিট) পুরুত্বের বার্ষিক বৈচিত্র্য রেকর্ড করেছিল।
এআরইএস বিমান থেকে এক্স-রেইর মাধ্যমে হিমবাহের সম্পূর্ণ ‘থ্রিডি বডি স্ক্যান’ করে। এই থ্রিডি স্ক্যানে দেখা গেছে, মালাস্পিনা হিমবাহটির বেশিরভাগই সমুদ্রপৃষ্ঠের নিচে এবং এর নিচ দিয়ে একাধিক চ্যানেল সৃষ্টি রয়েছে, যা কমপক্ষে ২১ মাইল দূরে সেন্ট ইলিয়াস পর্বতমালা হয়ে উপকূলে সমুদ্রের সঙ্গে মিলিত হয়েছে।
টোবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, ‘আমরা ধারণা করতে পারি, হিমবাহের ভেতরে সৃষ্টি হওয়া চ্যানেলগুলো দিয়ে উপকূলের পানি ঢুকছে।’
গবেষকরা উপসংহারে বলেছেন, মালাস্পিনা হিমবাহটির ৫৬০ কিউবিক কিলোমিটার বা ১৩৪ ঘনমাইল বরফ সমুদ্রে সরবরাহ করার ক্ষমতা রয়েছে। তাদের ধারণা, বরফটির বড় অংশ গলে যাবে। এই মালাস্পিনা একাই সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১ দশমিক ৪ মিলিমিটার বাড়িয়ে দিতে পারে।
টোবার বলেন, আলাস্কার হিমবাহগুলো প্রতিবছর সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে পৃথিবীর অন্য হিমবাহগুলোর চেয়ে বেশি অবদান রাখে, যা গ্রিনল্যান্ড এবং অ্যান্টার্কটিক বরফের আস্তরণসহ পৃথিবীর অন্য সব হিমবাহের মধ্যেও শীর্ষে।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূখণ্ডের রূপান্তর
মালাস্পিনা হিমবাহটি রেঞ্জেল সেন্ট ইলিয়াস ন্যাশনাল পার্কে অবস্থিত। এটি যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম জাতীয় উদ্যান। যার আয়তন ১ কোটি ৩২ লাখ একর। এটি ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্ক, ইয়োসেমাইট ন্যাশনাল পার্ক এবং সমগ্র সুইজারল্যান্ডের আয়তনের চেয়েও বড়।
টোবার বলেন, ‘মালাস্পিনার সম্ভাব্য ক্ষতি এবং আলাস্কার উপকূলরেখা বরাবর একটি নতুন উপসাগর তৈরি হতে পারে, যা যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় একটি ভূখণ্ডের রূপান্তর। এই শতাব্দীতেই আমরা বড় ধরনের রূপান্তর দেখতে পারি।’
সূত্র : ইন্টারেস্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং
সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি
প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু
রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯
যোগাযোগ
প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]
বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]
বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯, +৮৮০১৮১৫৫৫২৯৯৭ । ই-মেইল: [email protected]
সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]
2023 Protidiner Bangladesh All Rights Reserved. Developed By Protidiner Bangladesh Team.