প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৩ ১১:৫১ এএম
আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৩ ১২:৪৬ পিএম
২০২২ সালে রাশিয়া থেকে ৮ কোটি ৬০ লাখ ২৫ হাজার টন তেল আমদানি করেছে চীন, যা ২০২১ সালের তুলনায় ৮ শতাংশ বেশি। ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীনের। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সরবরাহ ব্যবস্থায় চীনের অবস্থান নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। কিন্তু জ্বালানি স্বল্পতার কারণে উদীয়মান বিশ্বশক্তি চীন খাতটিতে এত দিন এতটা আধিপত্য বিস্তার করতে পারেনি। কিন্তু এবার সেই শূন্যতা পূরণ করতে যাচ্ছে বেইজিং। এ ক্ষেত্রে সহায় মস্কো।
শুক্রবার রুশ সংবাদ সংস্থা রিয়া নভোস্তিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটিই জানিয়েছেন মস্কোয় নিয়োজিত চীনা রাষ্ট্রদূত ঝাং হানহুই।
হানহুই বলেন, জ্বালানি খাতে বেইজিং মস্কোর সম্পর্ক আরও গভীর করতে চায়। আমরা মিলেমিশে আন্তর্জাতিক জ্বালানি নিরাপত্তা ও শিল্পের স্থিতিশীলতার জন্য কাজ করতে চাই। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সরবরাহ ব্যবস্থাকে সুরক্ষা দিতে।
এই উদ্দেশ্যে দুই দেশ গত কয়েক বছরে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। অনেক বাস্তবায়নের পথে।
আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজারে রাশিয়া অন্যতম বিশ্বশক্তি জানিয়ে হানহুই বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে চীনে রুশ তেলের সরবরাহ অব্যাহতভাবে বেড়েছে। ২০২২ সালে রাশিয়া থেকে ৮ কোটি ৬০ লাখ ২৫ হাজার টন তেল আমদানি করেছে চীন, যা ২০২১ সালের তুলনায় ৮ শতাংশ বেশি।
২০২২ সালে চীন রাশিয়া থেকে এলএনজি কিনেছে ৬৫ লাখ টন। একই সময়ে পাওয়ার অব সাইবেরিয়া ন্যাচারাল গ্যাস পাইপলাইন দিয়ে চীনে রুশ গ্যাস আমদানি হয়েছে ১ হাজার ১৫০ কোটি কিউবিক মিটার, যা রেকর্ড।
আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়, হানহুই আরও জানান, গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানির জন্য মস্কো ও বেইজিংয়ের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়ার ফারইস্ট গ্যাস পাইপলাইন দিয়ে চীনের হুলিন শহরে রুশ গ্যাস পৌঁছাবে। এটি শিগগিরই বাস্তবায়িত হবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে রাশিয়া থেকে চীনে বছরে ১ হাজার কোটি কিউবিক মিটার প্রাকৃতিক গ্যাস যাবে। আর অন্যসব প্রকল্প নির্বিঘ্নে চললে রাশিয়া থেকে চীনে বছরে রাশিয়ার জ্বালানি মুঘল গ্যাজপ্রমের গ্যাস যাবে প্রায় ৪ হাজার ৮০০ কোটি কিউবিক মিটার।
সূত্র : আরটি