প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৩ ১৪:০০ পিএম
আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৩ ১৫:৫৫ পিএম
স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি পশ্চিম উপকূলের ডংচাং-রি সাইট থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। ছবি : সংগৃহীত
উত্তর কোরিয়া কোরীয় উপদ্বীপের পূর্ব উপকূলে সমুদ্রের দিকে একটি স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান জানিয়েছে, অব্যাহত ক্ষেপণাণাস্ত্র উৎক্ষেপণের মধ্যে এটি পিয়ংইয়ংয়ের সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা।
দক্ষিণ কোরিয়ার এক সামরিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রবিবার (১৯ মার্চ) স্থানীয় সময় সকাল ১১টা দিকে পশ্চিম উপকূলের ডংচাং-রি সাইট থেকে উৎক্ষেপণ করা ক্ষেপণাস্ত্রটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার উড়েছিল।
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত উচ্চতায় উড়েছে।
উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে নিন্দা করেছে সিউল।
রবিবার ক্ষপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পরপরই দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র যৌথ বিমান মহড়ায় একটি বি-১বি কৌশলগত বোমারু বিমান মোতায়েন করেছে। সিউল এবং ওয়াশিংটন বলেছে, তারা বর্ধিত প্রতিরোধ জোরদার করার জন্য ওই বিমান মোতায়েন করছে।
জাপানের প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী তোশিরো ইনো বলেছেন, ‘ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে অবতরণ করেছে এবং ওই এলাকায় জাহাজ বা বিমানের কোনো ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।’
তিনি ওই উৎক্ষেপণকে জাপান এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার জন্য একটি ‘হুমকি’ বলে অভিহিত করেছেন।
ইনো একটি সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেছেন, ‘এ রকম পদক্ষেপ একদম সহ্য করা যায় না। উত্তর কোরিয়ার আচরণ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে এবং এটি অগ্রহণযোগ্য। জাপান বেইজিংয়ে অবস্থিত উত্তর কোরিয়ার দূতাবাসে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।’
ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রবিবারের উৎক্ষেপণ যুক্তরাষ্ট্রের কর্মীদের বা তার মিত্রদের জন্য তাৎক্ষণিক হুমকি সৃষ্টি করে না। তবে সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ পিয়ংইয়ংয়ের গণবিধ্বংসী বেআইনি অস্ত্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির অস্থিতিশীল প্রভাবকে তুলে ধরে।’
উত্তর কোরিয়া বৃহস্পতিবার কোরীয় উপদ্বীপ ও জাপানের মধ্যে সাগরে একটি সন্দেহভাজন আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) হোয়াসোং-১৭ নিক্ষেপ করে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় মিডিয়া কেসিএনএ হোয়াসোং-১৭-এর উৎক্ষেপণকে দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের চলমান ‘উন্মত্ত’ যৌথ মহড়ার প্রতিক্রিয়া হিসেবে বর্ণনা করেছে।
সূত্র : আলজাজিরা