প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৩ ১৮:৩১ পিএম
আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৩ ১৮:৫৩ পিএম
এফজেসিতে দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে পিটিআই সমর্থকদের সংঘর্ষ। ১৮ মার্চ ইসলামাবাদে। ছবি : সংগৃহীত
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার দলের ১৭ নেতার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। দেশটির ফেডারেল জুডিসিয়াল কমপ্লেক্সের (এফজেসি) বাইরে পুলিশের ওপর হামলা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। রবিবার (১৯ মার্চ) ইসলামাবাদ পুলিশ মামলাটি করে।
অন্যদিকে লাহোর হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে ইমরান খানের বাড়িতে তল্লাশি ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট সব পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পাল্টা মামলার কথা জানিয়েছেন পিটিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফাওয়াদ চৌধুরী।
পাকিস্তানের গণমাধ্যম দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তোশাখানা মামলায় এফজেসিতে শনিবার হাজিরা দিতে যান ইমরান খান। এ সময় পিটিআই সমর্থকরা দাঙ্গা পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং পুলিশের কিছু গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় অন্তত ২৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়। এ ঘটনায় ইমরান খানসহ পিটিআইয়ের আরও ১৭ নেতার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তা ছাড়া এফজেসিতে হামলার অভিযোগে পিটিআইয়ের অন্তত ৬০ জন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাজধানী ইসলামাবাদের এফজেসিতে হাজিরা দেওয়ার এক দিন পর রবিবার লাহোরের জামান পার্ক এলাকায় ইমরান খানের বাসভবনে অভিযান চালায় পাঞ্জাব পুলিশ। এ সময়ও পিটিআই সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।
অভিযান চালানোর সময় পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া ও পুলিশের ওপর হামলা চলানোর অভিযোগে পিটিআইয়ের ১০২ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদ ও হত্যাচেষ্টাসহ ১৩টি অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
কিন্তু লাহোর হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে ইমরানের বাসভবনে অভিযান চালানো অবৈধ ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করার অভিযোগে পাল্টা মামলার কথা জানিয়েছেন ফাওয়াদ চৌধুরী।
রবিবার এক টুইটে ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন, লাহোর হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে ইমরান খানের বাসভবনে অভিযান চালানো অবৈধ। এতে করে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয়েছে। তা ছাড়া পুলিশ আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তাই আমরা সংশ্লিষ্ট সব পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এজন্য পিটিআইয়ের আইনি দলের সদস্যদের নিয়ে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে।
ক্ষমতায় থাকার সময় রাষ্ট্রীয় তহবিল তোশাখানা থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে উপঢৌকন গ্রহণের অভিযোগে ইমরানের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। ইসলামাবাদের সেশন কোর্টে মামলাটির পরপর চারটি শুনানিতে অনুপস্থিত থাকেন তিনি। এ অবস্থায় ১৩ মার্চ ইমরানকে গ্রেপ্তারের জামিনের অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।
ইমরানকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ দুই দফায় তার বাড়িতে যায়। কিন্তু তার সমর্থকদের ব্যাপক উপস্থিতির কারণে তা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় ১৬ মার্চ খানের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা স্থগিত করে লাহোর হাইকোর্ট।
সূত্র : দ্য ডন, জিওনিউজ