প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৩ ১৬:৪৯ পিএম
আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৩ ১৬:৫০ পিএম
নিয়মিত মহড়ায় তাইওয়ানের সেনাবাহিনী। ২০২৩ সালের ১১ জানুয়ারি। ছবি: সংগৃহীত
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন আগামী সপ্তাহে মধ্য-আমেরিকার দুটি দেশ সফর করবেন। সফরকালে যাত্রা বিরতি নেবেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ও লস এঞ্জেলেসে। এ সময় চীনের সম্ভাব্য হামলা নিয়ে সেনাবাহিনী বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন তাইওয়ানের উপপ্রতিরক্ষা মন্ত্রী পো হর্ং-হুই।
রাজধানী তাইপেতে বুধবার (২২ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে পো হর্ং-হুই বলেন, আমাদের বিশেষ পরিকল্পনা থাকবে। চীন কোনো কিছু করলে তা মোকাবিলা করার জন্য আমরা প্রস্তুত থাকব।
মঙ্গলবার তাইওয়ান প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানায়, আগামী সপ্তাহে মধ্য-আমেরিকার দেশ ব্রাজিল ও গুয়াতেমালা সফর করবেন প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। কূটনৈতিক মিত্র দেশ দুটিতে সফরকালে সাই ইং-ওয়েন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক এবং লস এঞ্জেলেসে যাত্রা বিরতি নেবেন।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিরতিকালে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের নতুন স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে বৈঠক করবেন সাই ইং-ওয়েন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস-প্রেসিডেন্টের পর তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার। গত আগস্টে চীনের বারবার হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও তাইওয়ান সফর করেন তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। এরপর তাইওয়ানের চারদিকে নজিরবিহীন সামরিক মহড়া চালায় চীন।
সাই ইং-ওয়েনের পরিকল্পিত যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বেইজিং। কারণ তাইওয়ানকে নিজেদের আদালা হয়ে যাওয়া অংশ মনে করেন চীন। এটাকে শান্তিপূর্ণভাবে না পারলে বল প্রয়োগ করে মূল চীনের সঙ্গে একীভূত করা দেশটির বর্তমান শাসক দল কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম ঘোষিত লক্ষ।
এদিকে বেইজিংয়ের সমালোচনাকে অহেতুক মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রা বিরতি নিয়ে চীনের প্রতিক্রিয়া দেখানোর কোনো যুক্তি নেই। এটা একটা খুব সাধারণ ঘটনা।
অন্যদিকে নিজেদের ভাগ্য, নিজেদের পরিকল্পনা তাইওয়ানের জনগণই নির্ধারণ করবে বলে জানিয়েছে সাই ইং-ওয়েনের কার্যালয়।
সূত্র: রয়টার্স