ফিলিস্তিনি হত্যার মধ্য দিয়ে রমজান শুরু করল ইসরায়েল

পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিনেই অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন এক ফিলিস্তিনি। ফিলিস্তিনের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মিসরে এক বৈঠকে চলমান উত্তেজনা ও সহিংসতা কমাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে দুই পক্ষের সম্মত হওয়ার পাচঁ দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) ইসরায়েলি বাহিনী এ অভিযান চালায়।

ওই বৈঠকে পবিত্র রমজান মাসের আগেই সহিংসতা কমাতে পদক্ষেপ নেবেন বলা হলেও বাস্তবে দেখা যায় এর বিপরীত রূপ। রমজানের প্রথম দিনেই হত্যাকাণ্ডের সূচনা করে ইসরায়েল।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার তুলকারেম শহরে ২৫ বছর বয়সি আমির আবু খাদিজেহকে মাথায় গুলি করা হয়।

ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম জানায়, আবু খাদিজেহের লাশ হাসপাতালে পৌঁছালে তার হত্যার প্রতিবাদে বিশাল জনতা রাস্তায় নেমে আসে।

ইসরায়েলি সীমান্ত পুলিশের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে তাদের একটি গোয়েন্দা ইউনিট অভিযান চালায়। বেশ কয়েকটি গুলি হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন এক ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করতে এ অভিযান চালানো হয়।

সীমান্ত পুলিশ দাবি করে, গোয়েন্দা বাহিনী তার বাড়ি ঘেরাও করে, এ সময় ওই ব্যক্তি তাদের লক্ষ্য করে অস্ত্র তাক করলে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

গত এক বছরে পশ্চিম তীরে তুলকারেম ব্রিগেড একটি বাহিনী গড়ে ওঠে। যারা ইসরায়েলি দখলদারিত্বে বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। আর আবু খাদিজেহ এই বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। বাহিনীটি দাবি করেছে খাদিজেহকে ‘হত্যা’ করা হয়েছে।

ফিলিস্তিনি ফাতাহ আন্দোলনের একজন কর্মী মুরাদ দ্রৌবি স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী তুলকারেমের একটি এলাকা শুফাতে হামলা চালিয়েছে। আবু খাদিজেহ যে বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন, তার চারপাশে যানবাহন চলাচল ও বাসিন্দাদের জন্য এর মূল প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আবু খাদিজেহ যে ফ্ল্যাটে ছিলেন তার মালিককেও গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

রবিবার (১৯ মার্চ)  মিসরের শহর শার্ম আল-শেখে বৈঠক করেন ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা। বৈঠকে রমজান শুরুর পর জেরুজালেমের পবিত্র স্থানগুলোতে যেকোনো ধরনের সহিংস ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে জোর দেন তারা। কিন্তু এর আগেরবারের মতোই এবারও সহিংসতা শুরু করে ভেস্তে গেল সেই প্রতিশ্রুতি।

সূত্র : আল জাজিরা