প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২৩ ২২:২২ পিএম
আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৩ ১৭:৪৬ পিএম
নতুন পেনশন বিলের বিরুদ্ধে ফ্রান্সজুড়ে বৃহস্পতিবার দুই শতাধিক বিক্ষোভ হয়েছে। ২৩ মার্চ প্যারিসের উপকণ্ঠ বাস্তিলে। ছবি : সংগৃহীত
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ সরকারের নতুন পেনশন বিলে বয়স ৬২ থেকে বাড়িয়ে ৬৪ করা হয়েছে। এ নিয়ে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশটিতে থেমে থেমে বিক্ষোভ চলছে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) ফ্রান্সজুড়ে দুই শতাধিক বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে।
গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফরাসি পুলিশ ২০০-এর বেশি বিক্ষোভের কথা নিশ্চিত করেছে। রাজধানী প্যারিসের মোড়ে মোড়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়। বিক্ষোভকারীদের পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে।
আল জাজিরা জানায়, প্যারিসহ ফ্রান্সের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীরা গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। কোথাও কোথাও রেল যোগাযোগও বিঘ্নিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্যারিসের মূল বিমানবন্দরের সবকটি সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীরা মোড়ে মোড়ে আগুন জ্বালিয়ে ও ময়লা ছড়িয়ে রেখেছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, চলতি মাসের শুরুতে মাখোঁ সরকার নতুন পেনশন বিল উত্থাপন করে। এতে অবসরে যাওয়ার বয়স ৬২ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬৪ করা হয়।
সাধারণ মানুষের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও গত সপ্তাহে তা পার্লামেন্টে পাস হয়। এ অবস্থায় ররিবার (১৯ মার্চ) অনাস্থা ভোট আনা হয় মাখোঁর বিরুদ্ধে। মাত্র ৯ ভোটে অনাস্থা ভোটে রক্ষা পায় মাখোঁ। কিন্তু অনাস্থা ভোটের পর থেকে জনরোষ আরও বেড়েছে।
এসব কিছুর পর নিজের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন মাখোঁ। বুধবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে মাখোঁ বলেন, এই আইন পার্লামেন্টে পাস হয়েছে। এটা বাতিলের কোনো সুযোগ নেই। চলতি বছরের শেষের দিকে এটি কার্যকর হবে।
তবে জেনারেল কনফেডারেশন অব লেবারের (সিজিটি) নেতা ফিলিপ মার্টিনেজ বলেন, প্রেসিডেন্টের কাছে আমাদের সাধারণ বার্তা হলো রাস্তায় লাখো মানুষ। তারা কোমর বেঁধে নেমেছে। সময় থাকতে সতর্ক হোন।
সোশ্যালিস্ট পার্টির প্রধান ভ্যালেরি রাবাল্ট বলেন, কার্যকর করার আগে পার্লামেন্টে আইনটি নিয়ে আরেকটি চূড়ান্ত বিতর্ক হোক। আমরা সবকিছুর জন্য প্রস্তুত। এখন যা চলছে তা ফ্রান্সের ভাবমূর্তির জন্য বেশ ক্ষতিকর।
সূত্র : গার্ডিয়ান, আল জাজিরা