প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৩ ০৮:৪৮ এএম
আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৩ ১২:১১ পিএম
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ও সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ছবি : এএফপি
এক দশকের বেশি সময় পর এবার সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে যাচ্ছে সৌদি আরব। এর অংশ হিসেবে দামেস্কে দূতাবাস চালু করতে যাচ্ছে রিয়াদ। আগে ইরানের সঙ্গে বৈরিতা ভুলে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেয় দেশটি।
দামেস্কের সঙ্গে সংযুক্ত একটি আঞ্চলিক সূত্র জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের প্রধান মিত্র ইরানের সঙ্গে সৌদি আরব সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য একটি যুগান্তকারী চুক্তির পর রিয়াদ ও দামেস্কের মধ্যে যোগাযোগে গতি পেয়েছে।
আরেকটি আঞ্চলিক সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, এপ্রিলের দ্বিতীয়ার্ধে মুসলিমদের ধর্মীয় উৎসব ‘ঈদুল-ফিতরের পরে দূতাবাস পুনরায় খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে দুই দেশের সরকার।’
এ দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা হলে তা আরব রাষ্ট্রগুলোর পদক্ষেপের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হবে। ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে অনেক পশ্চিমা ও আরব রাষ্ট্র সৌদি আরবকে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করতে উস্কানি দেয়। তারই সূত্র ধরে বাশার আল-আসাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চাওয়া আঞ্চলিক দেশগুলোর পদক্ষেপের বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে এ বিষয়ে সৌদি সরকারের যোগাযোগ দপ্তর, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সিরিয়া সরকারি দপ্তরের কাছে জানতে চাইলে সেখান থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
এদিকে সাত বছরের বৈরিতার ইতি টেনে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে সম্মত হয়েছে ইরান ও সৌদি আরব। এরই অংশ হিসেবে দুই দেশ আগামী দুই মাসের মধ্যে দূতাবাসের কার্যক্রম শুরু করবে বলে জানিয়েছে। উভয় দেশের সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পেছনে চীনের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে; যা মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র : রয়টার্স