প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৩ ১৫:১৬ পিএম
আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৩ ১৬:০৫ পিএম
যুক্তরাষ্ট্র পূর্ব সিরিয়ায় নির্ভুল বিমান হামলা চালিয়েছে। ছবি : সংগৃহীত
সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ড্রোন হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের এক ঠিকাদার নিহত ও পাঁচ সেনাসদস্য আহত হওয়ার পর মার্কিন বিমান হামলায় আট ইরানপন্থি যোদ্ধা নিহত হয়েছে। একটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা শুক্রবার (২৪ মার্চ) এ খবর জানিয়েছে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির বিস্তৃত সূত্রের নেটওয়ার্ক ব্রিটেনভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি অব হিউম্যান রাইটসের প্রধান রামি আবদেল রহমান বলেছেন, ‘দেইর এজোর শহরের অভ্যন্তরে একটি অস্ত্রের ডিপো লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ছয় ইরানপন্থি যোদ্ধা নিহত হয়েছে এবং মায়াদিনের মরুভূমি ও আল-বুকামালের কাছে হামলা চালিয়ে আরও দুই যোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে।’
পূর্ব সিরিয়ায় ইরান-সম্পর্কিত গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক বিমান হামলার আগে ওই গোষ্ঠী একটি মারাত্মক ড্রোন হামলা চালিয়েছিল।
পেন্টাগন এক বিবৃতিতে বলেছে, উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার হাসাকেহ-এর কাছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের ঘাঁটিতে হামলার প্রতিশোধ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) গভীর রাতে বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র ।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা তদন্তে দেখেছে যে, হামলাকারী ড্রোনটি মূলত ইরানি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বলেছেন, পূর্ব সিরিয়ায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পসের (আইআরজিসি) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।
এক বিবৃতিতে অস্টিন বলেছেন, সিরিয়ায় কোয়ালিশন বাহিনীর বিরুদ্ধে আইআরজিসির সঙ্গে সম্পৃক্ত গোষ্ঠীগুলো দ্বারা সাম্প্রতিক আক্রমণগুলোর প্রতিক্রিয়া হিসেবে ওই বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
অস্টিন আরও বলেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশে প্রতিশোধমূলক হামলার অনুমোদন দিয়েছেন।
এ ছাড়াও তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন স্পষ্ট করেছেন যে, আমরা আমাদের জনগণকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নেব এবং সর্বদা আমাদের স্বার্থের জায়গায় প্রতিক্রিয়া জানাব। কোনো গোষ্ঠীর দায়মুক্তি নিয়ে আমাদের সেনাদের আঘাত করবে না।’
আইএসআইএল (আইএসআইএস) গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধে মিত্র বাহিনীকে সমর্থন দিয়ে ২০১৫ সালে সিরিয়ায় প্রবেশ করেছিল মার্কিন বাহিনী।
বর্তমানে সিরিয়ার উত্তর, দক্ষিণ এবং পূর্বেসহ দেশটিতে আনুমানিক ৯০০ মার্কিন সেনা রয়েছে এবং ঠিকাদার মোতায়েন রয়েছে বলে জানা গেছে।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা তাৎক্ষণিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো হামলার কথা স্বীকার করেনি।
জাতিসংঘে সিরিয়ার মিশন তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের জন্য আল জাজিরার অনুরোধে সাড়া দেয়নি। হামলার বিষয়ে ইরান থেকেও তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, আহত মার্কিন সেনাদের মধ্যে দুজনকে সিরিয়ার ঘাঁটিতে চিকিৎসা করা হয়েছে এবং অন্য তিনজন সেনা এবং ঠিকাদারকে ইরাকের একটি কোয়ালিশন চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র : এনডিটিভি