প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২৩ ২১:৫৬ পিএম
আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৩ ২২:০৪ পিএম
সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রথম মুসলিম নভোচারী সুলতান আলনেয়াদি। ছবি : সংগৃহীত
সারা দিন রোজা রাখার পর অস্তগামী সূর্য দেখে পানাহার শুরু করেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। শতাব্দী ধরে এই রীতিই অনুসরণ করে আসছেন তারা। কিন্তু হঠাৎ যদি সূর্যাস্তের ঘড়ির কাঁটা বদলে যায়? যেমনটি হয়ে থাকে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে। সেখানে ঘূর্ণায়মান ল্যাবরেটরি পৃথিবীর চারপাশে ঘণ্টায় প্রায় ২৭ হাজার ৬০০ কিলোমিটার গতিতে চক্কর মারে। ফলে নভোচারীরা প্রতিদিন ১৬ বার সূর্যাস্ত দেখে থাকেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রথম মুসলিম নভোচারী হিসেবে গেল ৩ মার্চ সুলতান আলনেয়াদি স্পেস স্টেশনে পৌঁছন। সেখানে তিনি আরও প্রায় পাঁচ মাস অবস্থান করবেন। এই সময়ের মধ্যে পৃথিবীতে তার ধর্মের অনুসারীরা রোজা শেষে ঈদুল ফিতর, হজ ও ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন। প্রশ্ন উঠেছে, মহাকাশে অবস্থানকালে মুসলমান নভোচারীরা এসব ধর্মীয় অনুশাসন,বিশেষ করে রোজা রাখবেন কীভাবে।
এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য মহাকাশে ভ্রমণের আগে দিয়েছেন সুলতান আলনেয়াদি নিজেই। তিনি গেল জানুয়ারিতে এক সম্মেলনে বলেন, ভ্রমণের সময় তিনি ‘সফরকারীর’ তালিকায় পড়বেন। এই হিসেবে তিনি চাইলে রোজা ভাঙতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, যদি আপনি শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করেন তবে রোজা রাখা বাধ্যতামূলক নয়। সুতরাং এই প্রেক্ষেপটে তিনি এমন কিছুই করবেন না যা এই মিশন ও ক্রুদের বিপদে ফেলতে পারে।
‘ছয় মাসের এই মিশন তার জন্য অনেক বড় দায়িত্বের’-যোগ করেন সুলতান আলনেয়াদি।
মহাকাশে যাওয়া সব মিলে ডজন খানেক মুসলিম নভোচারীদের মধ্যে সুলতান আলনেয়াদি একজন।