প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৩ ১১:৪৩ এএম
আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২৩ ১১:৪৮ এএম
২০১৮ সালে সিরিয়ার দামেস্কে সিরিয়া ও রাশিয়ার সেনারা। ছবি : সংগৃহীত
সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র বাহিনীর পদক্ষেপকে ‘উস্কানিমূলক কর্ম’ হিসেবে বর্ণনা করে প্রতিবাদ জানিয়েছে সিরিয়ায় অবস্থানরত রুশ বাহিনী। খবরটি নিশ্চিত করেছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস।
রাশিয়ার এক সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে শুক্রবার (৩১ মার্চ) তাস জানিয়েছে, সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ হাসাকেহে ‘উস্কানিমূলক’ ঘটনা ঘটেছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র বাহিনী বেশ কয়েক বছর ধরে মোতায়েন রয়েছে।
তারা সেখানে স্থানীয় কুর্দি সেনাদের জোটের নেতৃত্বে আইএসআইএলের (আইএসআইএস) অবশিষ্টাংশের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
সিরিয়ায় রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন পশ্চিমাবিরোধী জোটের কেন্দ্রের প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল ওলেগ গুরিনভ বলেছেন, ‘হাসাকেহ প্রদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর ইউনিটগুলোর উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড লক্ষ করা গেছে এবং রাশিয়া ওই কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছে।’
বিশদ বিবরণ না দিয়ে গুরনিভ বলেছেন, অভিযানের জন্য নির্ধারিত অঞ্চলের বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের দুবার দেখেছে রাশিয়ার বাহিনী।
তিনি বলেছেন, ‘রুশ-তুর্কি যৌথ টহল চলাকালে তথাকথিত সন্ত্রাসবিরোধী জোট দ্বারা পরিচালিত যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের দুটি টহল বহরের গতিবিধি দেইরুনা-আগা ও সারামসাকের কাছে লক্ষ করা গেছে।’
প্রসঙ্গত, তুরস্কের সঙ্গে উত্তর সিরিয়ায় যৌথ টহল চালাচ্ছে রাশিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট প্রায় আট বছর ধরে সিরিয়ায় নিযুক্ত রয়েছে। রাশিয়া ২০১৫ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে হস্তক্ষেপ করে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পক্ষে ভারসাম্য বজায় রেখেছিল। এর পর থেকে মস্কো সিরিয়ায় একটি স্থায়ী বিমান, নৌ ঘাঁটিসহ সামরিক স্থাপনা সম্প্রসারণ করেছে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা তখন বলেছিলেন, ইরানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের একজন সামরিক ঠিকাদার নিহত হয়েছেন, অন্য একজন আহত হয়েছেন এবং হাসাকেহ শহরের কাছে দেশটির উত্তর-পূর্বে জোট ঘাঁটিতে প্রায় এক ডজন সেনা আহত হয়েছেন।
সিরিয়ায় ইরানপন্থি বাহিনীর উপদেষ্টা কমিটির স্বাক্ষরিত একটি অনলাইন বিবৃতিতে সতর্ক করে বলা হয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার জবাব দেবে।
ইরান ও সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উভয়েই যুক্তরাষ্ট্রের ওই বিমান হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
জবাবে ওয়াশিংটন বলেছে, ইরাক সীমান্তবর্তী দেইর ইজ-জোর কৌশলগত অঞ্চল ওই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল।
গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে এবং আন্তর্জাতিক আইন ও সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে যে তারা সিরিয়ায় আইএসআইএলের সঙ্গে লড়াই করার জন্য রয়েছে। এটি একটি অজুহাতমাত্র। তারা সিরিয়ার জাতীয় সম্পদ লুট করার কাজে নিয়োজিত।’
সূত্র : আলজাজিরা