কয়েক বছর ধরেই মুদ্রাস্ফীতি চলছে পাকিস্তানে। চলতি মার্চ মাসে যা ৩৫.৩৭ শতাংশে এসে পৌঁছেছে। এটি প্রায় পাঁচ দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।
সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রাতহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণ করতে তড়িঘড়ি উদ্যোগ নেওয়ার ফলে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। শনিবার (১ এপ্রিল) প্রকাশিত সরকারি তথ্য অনুযায়ী, মার্চের মুদ্রাস্ফীতির হার ফেব্রুয়ারিকে (৩১.৫ শতাংশ) ছাড়িয়ে গেছে। খাদ্য, পানীয় এবং পরিবহনের খরচ বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত।
বছরের পর বছর ধরে পাকিস্তানের আর্থিক অব্যবস্থা এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা অর্থনীতিকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিধ্বংসী বন্যার কারণে ২০২২ সালে দেশটির এক-তৃতীয়াংশ জলমগ্ন হয়ে পড়ে। পরবর্তীকালে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকট সেই পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তোলে।
বর্তমানে দেশটির যা ঋণ, তাতে কোটি কোটি ডলার অর্থায়নের প্রয়োজন। এদিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে এবং দেশটির মুদ্রা রুপির মান কমে গিয়েছে।
দরিদ্র পাকিস্তানিরা এই অর্থনৈতিক অস্থিরতার শিকার। মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব কমাতে সরকার সমর্থিত কর্মসূচির আওতায় সারা দেশে আটা-ময়দা বিতরণের কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে।
রমজান মাস শুরু হওয়ার পর থেকে খাদ্য বিতরণকেন্দ্রে ভিড়ে পিষ্ট হয়ে অন্তত ২০ জন প্রাণ হারিয়েছে। করাচির এক অর্থনৈতিক বিশ্লেষক শাহিদা উইজারাত এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘যেভাবে মুদ্রাস্ফীতি বা মূল্যস্ফীতি বাড়ছে, আমি মনে করি দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।’
দক্ষিণ এশীয় দেশটিতে ২২ কোটির বেশি মানুষের বসবাস। ঋণের গভীরে ডুবে থাকা পাকিস্তানকে চাঙ্গা করতে কঠোর কর সংস্কার প্রয়োজন। এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রাতহবিল জানিয়েছে, তাদের থেকে ৬৫ কোটি ডলারের সাহায্য পেতে গেলে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপে কিছু লক্ষ্য পূরণ করতে হবে পাকিস্তানকে।
মূল্যস্ফীতি ‘উন্নত’ স্তরে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘অত্যাবশ্যকীয় জিনিসপত্রের আপেক্ষিক চাহিদা এবং সরবরাহের ব্যবধান, বিনিময় হারের মূল্যহ্রাস এবং সম্প্রতি পেট্রোল ও ডিজেলের নিয়ন্ত্রিত দামের ঊর্ধ্বমুখী সমন্বয়ের ফলে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’
মূল্যস্ফীতি নিয়ে পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক মুখপাত্র বলেন, বৃদ্ধির এই হার সত্তর দশকে মাসিক রেকর্ড ব্যুরো শুরু হওয়ার পর সর্বোচ্চ। তার কথায়, ‘এটি আমাদের তরফে নথিভুক্ত হওয়া সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি।’
বিদেশি ঋণের বোঝা, মুদ্রাস্ফীতি এবং খাদ্য সংকটের ভারে ঝুঁকে পড়া দেশটিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও মারাত্মক হারে বেড়েছে। সূত্র : ডয়চে ভেলে
সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি
প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু
রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯
যোগাযোগ
প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]
বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]
বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯, +৮৮০১৮১৫৫৫২৯৯৭ । ই-মেইল: [email protected]
সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]
2023 Protidiner Bangladesh All Rights Reserved. Developed By Protidiner Bangladesh Team.