প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ১২:৪৫ পিএম
আপডেট : ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:৩১ পিএম
উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত
উত্তর কোরিয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে, যা নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র বলে ধারণা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) উৎক্ষেপণ করা ওই ক্ষেপণাস্ত্র কোরীয় উপদ্বীপ ও জাপানের মধ্যবর্তী জলসীমায় অবতরণ করে।
নতুন এ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের সমালোচনা করেছে জাপান। কারণ এ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল দেশটিতে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির হোক্কাইডো দ্বীপের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আদেশ জারি করেছিল জাপানি কর্তৃপক্ষ।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ (জেসিএস) জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ২৩ মিনিটে উৎক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়া। যা দেশটির রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের কাছ থেকে ছোড়া হয়।
মধ্যবর্তী বা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটি কোরীয় উপদ্বীপ ও জাপানের মধ্যবর্তী জলসীমার দিকে প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার উড়ে যায়। এরপর সেটি সাগরে গিয়ে অবতরণ করে। এ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকে জেসিএস গুরুতর উস্কানি বলে উল্লেখ করেছে।
জাপান বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি তাদের জলসীমায় অবতরণ করেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এর অবতরণের সুনির্দিষ্ট অবস্থানের বিষয়ে কিছু জানায়নি।
জেসিএস জানায়, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ এর বিস্তারিত জানতে ব্যাপক বিশ্লেষণ চালাচ্ছে।
এক সামরিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম ওয়াইটিএন জানিয়েছে, সম্প্রতি দেশটি সামরিক কুচকাওয়াজে কিছু নতুন ধরনের অস্ত্রের প্রদর্শন করেছে। এবারে সম্ভবত সে নতুন ধরনের অস্ত্রের একটাই পরীক্ষামূলকভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
এ সলিড ফুয়েল প্রজেক্টাইলটি ক্ষেপণাস্ত্র হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। সলিড ফুয়েল প্রযুক্তির মাধ্যমে রকেট সহজে পরিবহন ও দ্রুত উৎক্ষেপণ করা যায়।
বৃহস্পতিবার পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পর সিউল তার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের একটি জরুরি বৈঠক ডাকে। সেখানে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার নিন্দা জানানো হয়।
সূত্র : আলজাজিরা