প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৫ এপ্রিল ২০২৩ ১১:০৮ এএম
আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২৩ ১১:৩৬ এএম
দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়ার চিত্র। ছবি : আলজাজিরা
উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান হুমকির প্রতিক্রিয়ায় নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র।
প্রসঙ্গত, উত্তর কোরিয়ার প্রথম কঠিন জ্বালানিচালিত আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) পরীক্ষার নিন্দা করেছে এই তিন দেশ।
এ ছাড়াও উত্তর কোরিয়ার ‘পারমাণবিক এবং ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি’ প্রতিরোধের উপায় হিসেবে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা অনুশীলন এবং সাবমেরিন হামলা মোকাবিলায় যৌথ মহড়ার নিয়মিতকরণ নিয়ে আলোচনা করেছেন তিন দেশের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা।
গত শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসিতে ১৩তম ত্রিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা আলোচনা শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, ত্রিপক্ষীয় অনুশীলন পুনরায় শুরু করার উপায় নিয়েও আলোচনা করেছেন তিন দেশের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা।
তারা কঠোর ভাষায় মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, পিয়ংইয়ংয়ের ক্রমাগত পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি এবং ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের উসকানিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশনের নির্লজ্জ লঙ্ঘন।
ওই বিবৃতিতে পিয়ংইয়ংকে ‘সব অস্থিতিশীল কার্যকলাপ অবিলম্বে বন্ধ করার’ আহ্বানও জানানো হয়েছে।
উত্তর কোরিয়া সর্বশেষ ২০১৭ সালে একটি পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করেছিল।
কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তার সামরিক অস্ত্রাগারের দ্রুত সম্প্রসারণে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পশ্চিমারা।
গত শুক্রবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে দেশটির নেতা কিম জং উনকে তার পরিবারের সঙ্গে কঠিন জ্বালানিচালিত ক্ষেপণাস্ত্রের হাওয়াসং-১৮-এর পরীক্ষার তত্ত্বাবধান করতে দেখা গেছে।
হাওয়াসং-১৮-এর সফল পরীক্ষাকে ‘অলৌকিক সাফল্য’ হিসেবে দেখছে পিয়ংইয়ং।
২০১৯ সাল থেকে কিম এবং যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে একটি শীর্ষ বৈঠক ভেঙে যাওয়ার পর থেকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে আলোচনা স্থবির হয়ে পড়ে।
দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা উত্তর কোরিয়াকে আলোচনায় ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সংলাপের পথ উন্মুক্ত রয়েছে।’
সূত্র : আলজাজিরা