প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০২৩ ১২:২৮ পিএম
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ছবি : সংগৃহীত
পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে বেইজিংয়ের ‘উচ্চ পর্যায়ের’ সম্পর্কের উপর জোর দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সী (কেসিএনএ) মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) এ খবর নিশ্চিত করেছে।
এ ছাড়াও কেসিএনএ জানিয়েছে, জি-৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নিন্দা করেছেন।
প্রসঙ্গত, চীন হলো উত্তর কোরিয়ার দীর্ঘকালীন মিত্র এবং প্রধান অর্থনৈতিক হিতৈষী। কোরিয়ান যুদ্ধের রক্তপাতের মধ্যে তাদের সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছিল।
তখন মাও সেতুং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জাতিসংঘের বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করার জন্য লাখ লাখ ‘স্বেচ্ছাসেবক’ পাঠিয়েছিলেন।
মাও একবার দুই দেশের সম্পর্ককে ‘ঠোঁট এবং দাঁত’ হিসাবে বর্ণনা করে দ্বিপাক্ষিক ঘনিষ্ঠতাকে বুঝিয়ে ছিলেন।
উত্তর কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পরে বেইজিং-পিয়ংইয়ং উভয় পক্ষই তাদের মৈত্রী আরও শক্তিশালী করতে উত্সাহিত হয়েছে।
শি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের কাছে একটি বার্তায় উত্তরের আনুষ্ঠানিক নামের আদ্যক্ষর ব্যবহার করে বলেছেন, ‘ঐতিহ্যবাহী চীন-ডিপিআরকে বন্ধুত্ব দীর্ঘদিন ধরে পরিবর্তিত আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির পরীক্ষাকে পরিহার করেছে।’
শি আরও বলেছেন, ‘বর্তমান আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক পরিস্থিতি গুরুতরভাবে একটি জটিল উপায়ে পরিবর্তিত হচ্ছে। আমি উভয় পক্ষের মধ্যে চলমান বন্ধুত্ব ও সহযোগিতাকে উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাবো।’
এদিকে, জি-৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা উত্তর কোরিয়াকে আরও পারমাণবিক পরীক্ষা এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ থেকে বিরত রাখার দাবির কয়েক ঘন্টা আগে শি’র বার্তাটি আসে।
জাপানে আলোচনার পর জি-৭ কূটনীতিকরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘অবশ্যই দ্রুত, ঐক্যবদ্ধ এবং দৃঢ় আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে উত্তরের এই ধরনের পদক্ষেপগুলোর জবার দেওয়া হবে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (ইউএনএসসি) দ্বারাও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
পিয়ংইয়ং এই বছর নিষিদ্ধ অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে তার বেশ কয়েকটি শক্তিশালী আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম)।
গত সপ্তাহে, উত্তর একটি নতুন কঠিন জ্বালানীচালিত আইসিবিএমের প্রথম সফল পরীক্ষাকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, ‘এটি দেশের পারমাণবিক পাল্টা আক্রমণের ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করবে।’
সূত্র : এনডিটিভি