× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

দাবদাহে ওষ্ঠাগত এশিয়ার জনজীবন

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২৩ ২০:৫৪ পিএম

আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৩ ২১:১৮ পিএম

কলকাতায় বোতল থেকে পানি পান করছেন এক টেক্সি ড্রাইভার। ছবি : সংগৃহীত

কলকাতায় বোতল থেকে পানি পান করছেন এক টেক্সি ড্রাইভার। ছবি : সংগৃহীত

এশিয়ায় এমন দাবদাহ সর্বশেষ কবে দেখা গেছে, তা প্রবীণদেরও স্মরণে নেই। এজন্য আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহায়তা নিতে হচ্ছে। তবে নির্দিষ্টভাবে এপ্রিলে এশিয়ায় এমন গরম আর কখনও পড়েনি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। 

দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা মৃদু থেকে তীব্র দাবদাহে এশিয়ার দেশে দেশে হিটস্ট্রোকের মতো ঘটনা ঘটছে। এতে মৃত্যুর পাশাপাশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে মানুষ, পশুপাখি। 

এ পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, ওড়িশায় ও দিল্লিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি দাবদাহ আরও কয়েক দিন চলতে পারে বলে পূর্বাভাস করেছে বিভিন্ন দেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর। 

গ্লোবাল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি এপ্রিলে চীনের ১২টি শহরে ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। গত সোমবার পূর্ব চীনের জেঝিয়াং প্রদেশে ৩৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে, যা এখন পর্যন্ত দেশটিতে সর্বোচ্চ। দেশটির অন্য যে শহরগুলো তীব্র গরমের মুখে রয়েছে, তাদের মধ্যে চেংদু, নানজিং, হ্যাংজু ইয়াংজি নদীর ব-দ্বীপ অঞ্চল অন্যতম। 

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে লাওসে এবার ভয়াবহ গরম পড়েছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে দেশটির লুয়াং প্রাবাং শহরে সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে, যা দেশটির ইতিহাসে রেকর্ড। 

ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এশিয়ার অন্য দেশের মতো থাইল্যান্ডেও এপ্রিল ও মে মাসে তীব্র গরম পড়ে। তবে গত শুক্রবার দেশটিতে ৪৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে, যা দেশটিতে ইতঃপূর্বে আর কখনও দেখা যায়নি। 

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে বিনা প্রয়োজনে নাগরিকদের ঘরের বাইরে না যেতে সতর্কতা জারি করেছে থাইল্যান্ড সরকার। কারণ এতে হিটস্ট্রোক ও শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হতে পারে।  

থাইল্যান্ডে ২০১৬ সালে সর্বোচ্চ ৪৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল বলে জানিয়েছে জর্দানভিত্তিক অ্যারাবিয়াওয়েদারডটকম। 

গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের আবহাওয়া একটা সময় পর্যন্ত নাতিশীতোষ্ণ বলা হলেও গত কয়েক বছরে তা বদলে গেছে। গত সোমবার পাবনার ঈশ্বরদীতে সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। গত শনিবার ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রির বেশি, যা ৫৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। 

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা গার্ডিয়ানকে বলেছেন, কয়েক দিনের মধ্যে গরম না কমলে দেশের কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রাবিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হতে পারে। 

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতে কয়েক বছর ধরে গরম ধাপে ধাপে বেড়েছে। বিশাল জনসংখ্যার দেশটিতে হিটস্ট্রোকসহ গরম-সংশ্লিষ্ট অন্য সমস্যাও বেশি। 

দেশটিতে ইতোমধ্যে অন্তত ১৩ ব্যক্তির হিটস্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে। সোমবার মহারাষ্ট্রে বিজেপির এক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। তা ছাড়া কয়েকটি রাজ্যের হাসপাতালে অতিরিক্ত গরমে অসুস্থ হয়ে পড়া মানুষের ভিড় জমে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। 

এবার ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে অসহনীয় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। অঞ্চলটির বিহার, ঝাড়খন্ড, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে তাপমাত্রাবিষয়ক ‘কমলা’ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। 

গতকাল এসব রাজ্যের কোনো কোনো শহরে ৪৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। একই সময়ে রাজধানী দিল্লির তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি। 

তীব্র গরমের কারণে বিহার, ওড়িশা, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাইরে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান না করতে বলা হয়েছে।

এশিয়ার নজিরবিহীন তাপমাত্রা সম্পর্কে জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ম্যাক্সিমিলিয়ানো হেরেরা বলেন, ’চলতি এপ্রিলে এশিয়ায় যে দাবদাহ প্রবাহিত হচ্ছে, তা জলবায়ুর পরিসংখ্যান রাখার পর আরও কখনও দেখা যায়নি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এশিয়ায় তীব্রতর হচ্ছে, এপ্রিলের আবহাওয়া তারও প্রমাণ। এজন্য স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। তবে দাবদাহে তাৎক্ষণিক ক্ষতি কমাতে সরকারগুলোকেও কিছু সাময়িক পদক্ষেপ নিতে হবে।’ 

সূত্র : গার্ডিয়ান, ওয়াশিংটন পোস্ট



শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা