প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২৩ ২১:৪৫ পিএম
আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৩ ২২:০৮ পিএম
সুদানের রাজধানী খার্তুমে ব্যাপক লুটপাট ও ধ্বংসের খবর পাওয়া গেছে। বিধ্বস্ত কিছু দোকান। ১৮ এপ্রিল তোলা। ছবি : সংগৃহীত
সুদানে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে সংঘাত বুধবার (১৯ এপ্রিল) পঞ্চম দিনে প্রবেশ করেছে। দিন যতই যাচ্ছে, আরএসএফ দুর্বল হচ্ছে। তবে বুধবারও রাজধানী খার্তুমসহ দেশটির বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক সংঘাতের খবর পাওয়া গেছে।
খার্তুম থেকে আল-জাজিরার প্রতিবেদক হিবা মরগান জানান, সংঘাতের এ পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হচ্ছেন রাজধানীর সাধারণ মানুষ। রাজধানীর বিভিন্ন অংশে লুটপাট শুরু হয়ে গেছে। আরএসএফের সদস্যরাই লুটপাট করছেন বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।
আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা জানান, আরএসএফের সদস্যরা তাদের বাড়িতে ঢুকছেন। মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবাই দরজা বন্ধ করে রাখছেন। কেই কড়া নাড়লে সহজে দরজা খুলছেন না।
ব্যবসায়ী ও দোকান-মালিকদের থেকেও একই ধরনের অভিযোগ শোনা গেছে। তারা জানান, আরএসএফের সদস্যরা তাদের দোকান লুট করছে। কিছু দোকান সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলেছে। পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে, এতে করে সংঘাত শেষ না হলে লুটপাট বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে মনে হচ্ছে।
‘সমগ্র খার্তুম সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে’
সমগ্র খার্তুম সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি করেছেন সুদানের সাবেক নৌবাহিনীপ্রধান ফাতহুল রহমান মুহিউদ্দিন। আল-জাজিরাকে তিনি বলেন, ’খার্তুমের পাশাপাশি শুধু দুটি অঞ্চল ছাড়া পুরা দেশ সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। সুদানের জনগণকে এটা আমি নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারি।’
দেশটির বিভিন্ন স্থানে এ পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি আরএসএফের সদস্য আত্মসমর্পণ করেছে বলে দাবি করেন সাবেক এ নৌবাহিনীপ্রধান। তবে তার এ দাবি আলাদা করে যাচাই করা আল-জাজিরার পক্ষে সম্ভব হয়নি।
আর ২৪ ঘণ্টার অস্ত্রবিরতি
বুধবার আরও ২৪ ঘণ্টার অস্ত্রবিরতির কথা জানিয়েছে আরএসএফ। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। ইতোমধ্যে মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টার একটি অস্ত্রবিরতি হয়েছে। অস্ত্রবিরতি সত্ত্বেও সংঘাত অব্যাহত ছিল।
সূত্র : আল-জাজিরা