প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:৩৭ এএম
আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২৩ ১০:৫৯ এএম
আল-হাওয়ামাহে শিশুদের আনন্দের সীমা থাকে না। ছবি : সংগৃহীত
ঈদ শব্দের অর্থ খুশি, আনন্দ। এই আনন্দের ধারায় বিভোর হয়ে ওঠে শিশুরা। নতুন চাঁদ দেখা থেকে শুরু করে ঈদের দিন, তার পরের দিন পর্যন্ত সাধারণত উৎসব উৎসব একটা আবহ বিরাজ করে। ইসলামের পুণ্যভূমি সৌদি আরবে রয়েছে শিশুদের ঈদ উদযাপনের অতিপ্রাচীন ধারা, যার সঙ্গে আমাদের কিছু মিল আছে।
সৌদি আরবের নজদ প্রদেশে আল-হাওয়ামাহ নামের একটা প্রথা চালু আছে। ২৯ রোজার সন্ধ্যা থেকে যখন শাওয়ালের চাঁদ দেখার তোড়জোড় শুরু হয়, তখন থেকেই এটাও শুরু হয়ে যায়।
এতে মহল্লার শিশু-কিশোরেরা দল বেঁধে চাঁদ দেখার চেষ্টা করে। হইহুল্লোড় করে। চাঁদ দেখুক বা না দেখুক, দৌড়-ঝাপের অভাব থাকে না।
যদি চাঁদ দেখা যায়, তাহলে তো কথায় নেই। গানে গানে তারা নাচতে থাকে। এ ঘর থেকে ও ঘরে যায়। অনেকে ঈদের জন্য কেনা নতুন জামা-কাপড়ের একটা মহড়া দিয়ে দেয়। নজদ প্রদেশের পাশাপাশি রিয়াদেও আল-হাওয়ামাহ উদযাপনের প্রথা রয়েছে।
আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আল-হাওয়ামাহ উদযাপন এলাকা বা গোষ্ঠৗভেদে একসময় অনেক আলাদা ছিল। এখন তা অনেকটা কমে এসেছে। আবার কোনো জায়গায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
আল-হাওয়ামাহের সন্ধ্যায় ছোট্ট মেয়েরা মেহেদিতে হাত রাঙায়। অল্প বয়স্ক ছেলেরা ঐতিহ্যবাহী থোব পরে। মেয়েরা সোনার নকশায় অলঙ্কৃত একটি কালো মাথার আচ্ছাদন পরে। এটা অনেকটা ঈদের দিনের ‘মহড়া’র মতো। বাংলাদেশসহ বিশ্বের দেশে দেশে এমনটা দেখা যায়। হয়তো একটু ভিন্নভাবে।
৬০ বছর বয়সি তরফাহ আবদুল্লাহ আলহামউদি বলেন, আমাদের শৈশবে এটার মজাই ছিল আলাদা। আমরা এই সময়টার জন্য রমজানজুড়ে অপেক্ষা করতাম। এতে আমরা শিশুরা আত্মহারা হয়ে যেতাম।
হুদা আলোদাইব নামের আরেক প্রবীণ বলেন, আল-হাওয়ামাহ আমাদের সবচেয়ে বড় সামাজিক অনুষ্ঠান ছিল, যা এখন অনেকটা ম্রিয়মাণ। এতে এক বাড়ির বড়রা অন্য বাড়ির শিশু-কিশোরদের নানা ধরনের উপহার দিত।
সূত্র : আরব নিউজ