প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২৩ ১১:০৮ এএম
আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২৩ ১১:৪০ এএম
ইয়েমেনের রাজধানী সানার একটি স্কুলে ঈদুল ফিতরের দানের অর্থ নিতে গিয়ে পদপৃষ্ঠ হয়ে অন্তত ৮৫ জন নিহত হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত
ইয়েমেনে ঈদ উপলক্ষে দেওয়া দানের অর্থ নিতে গিয়ে পদপৃষ্ঠ হয়ে হয়ে অন্তত ৮৫ জন নিহত হয়। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকালের এই ট্র্যাজেডি নিয়ে দেশজুড়ে চলছে শোকের মাতম। নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জোরদার হচ্ছে। শুরু হয়েছে দায় চাপানোর খেলা।
রাজধানী সানার পদপৃষ্ঠের ঘটনায় এ পর্যন্ত অন্তত ৩ ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। আরও আটকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে সানার একটি স্কুলে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরিবদের মধ্যে নগদ অর্থ বণ্টন করা হচ্ছিল। প্রত্যেককে ৫ হাজার রিয়াল বা ৮ ডলার করে দেওয়া হচ্ছিল।
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির ওই স্কুলে দানের অর্থ নিতে গিয়ে এত বেশি মানুষের ভিড় হয়েছিল যে, একপর্যায়ে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ফলে পদপৃষ্ঠের মতো নির্মম ঘটনা ঘটে।
আরব নিউজ জানায়, পদপৃষ্ঠের ঘটনায় খেপেছে ইয়েমেনের নাগরিক সমাজ। দেশটির অ্যাক্টিভিস্ট, আইনজীবী, সাংবাদিকরা স্বাধীন ও বিস্তারিত তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। দেশটিতে নিয়োজিত বিদেশি দূতাবাসগুলোর কর্মকর্তারা নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।
ইয়েমেনের সাধারণ মানুষে ইতোমধ্যে একটি অনলাইন পিটিশন ক্যাম্পেইন শুরু করেছেন। এতে বৃহস্পতিবারের ট্র্র্র্যাজেডির জন্য সানার শাসক বিদ্রোহী হুথিদের দায়ী করা হয়েছে। কারণ তারা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঠিকমতো বেতন দেয় না। ঈদেও দেয়নি। ফলে সেখানে সমাজের ওই শ্রেণিটার মধ্যে নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে। যারা নগদ অর্থ নিতে গিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে নিম্নপদের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটা বড় অংশ ছিল।
জাতিসংঘের ইয়েমেন প্রতিনিধি হান্স গ্রুন্ডবের্গ, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতরাও বৃহস্পতিবারের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তারা ইয়েমেনের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। সারা বিশ্বকে ইয়েমেনবাসীর পাশে থাকার এবং ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।
সূত্র : আরব নিউজ