প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২৩ ১৯:০৮ পিএম
আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২৩ ২০:২৬ পিএম
বিস্ফোরণে সুদানের রাজধানী খার্তুমের উপর দিয়ে ধোঁয়া উড়ছে। ছবি : বিবিসি।
সুদানে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে গত সপ্তাহে লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে সেখানে অন্তত ৪১৩ জন নিহত হয়েছে এবং ৩ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এদিকে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে তার প্রথম বক্তৃতায় সুদানের সেনাবাহিনীর কমান্ডার আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান বলেছেন, সামরিক বাহিনী বেসামরিক শাসন কায়েমের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অন্যদিকে আরএসএফ ঘোষণা করেছে যে, তারা রাজধানী খার্তুমে সেনাবাহিনীর সঙ্গে অব্যাহত ভারী লড়াই সত্ত্বেও শিগগির যুদ্ধবিরতি শুরু করবে।
আরএসএফ এক বিবৃতিতে ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি পালন করার কথা বলেছে। ওই যুদ্ধবিরতি শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে কার্যকর হবে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার থেকেই সুদানে ঈদুল ফিতরের ছুটি শুরু হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সংঘর্ষ পবিত্র ঈদুল ফিতরের সঙ্গে মিলে যাওয়া, নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া এবং তাদের পরিবারকে ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর সুযোগ করে দেওয়ার জন্য মানবিক জায়গা থেকে ওই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।
তবে ওই যুদ্ধবিরতি পালন করবে কি না সে বিষয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
এদিকে যুদ্ধবিরতির মাঝে শুক্রবার ভোরেও ভারী গোলাবর্ষণে খার্তুম কেঁপে উঠেছে বলে জানা গেছে
আরএসএফ রাজধানীতে একটি ‘সাঁড়াশি হামলার’ জন্য সেনাবাহিনীকে অভিযুক্ত করেছে।
শহরের উত্তরে আলজাজিরার একজন সংবাদদাতা যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কয়েক মিনিট আগে আরএসএফ এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময়ের কথা জানিয়েছেন।
জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের অধীনে সেনাবাহিনী এবং জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালোর নেতৃত্বে থাকা আরএসএফের মধ্যে গত সপ্তাহ শেষে সহিংস লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিরতি ব্যর্থ হয়েছে।
জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের অধীনে সেনাবাহিনী এবং জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো আগে নেতা হিসেবে সুদানের ক্ষমতাসীন সামরিক সরকারের জোটে ছিলেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসসহ আন্তর্জাতিক নেতারা সম্প্রতি যুদ্ধরত দলগুলোকে ঈদে তিন দিনের যুদ্ধবিরতি পালন করার এবং বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে পৌঁছানোর অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ওই সংঘর্ষে এ পর্যন্ত অন্তত ৩৫০ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
জীবন বাঁচাতে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ খার্তুম এবং দারফুর থেকে দেশটির দক্ষিণে ও পার্শ্ববর্তী দেশ চাদে প্রবেশ করেছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা আলজাজিরাকে বলেছে, ‘হাজার হাজার সুদানি সীমান্ত পেরিয়ে চাদে প্রবেশ করেছে। এদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।’
ইউএনএইচসিআরের গ্লোবাল মুখপাত্র ক্যাথরিন মাহোনি বলেছেন, ‘তারা পালানোর সময় সঙ্গে করে কিছুই নিতে পারেনি। সুদানের সহিংসতা সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে, কারণ সেনাবাহিনী এবং আরএসএফ যুদ্ধ শুরু করার আগেও সুদানে ইতোমধ্যে এক মিলিয়নেরও বেশি শরণার্থী তৈরি হয়েছে।
সূত্র : আলজাজিরা