প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৭ মে ২০২৩ ১৩:৪১ পিএম
আপডেট : ১৭ মে ২০২৩ ১৩:৪৩ পিএম
দেশের প্রথম সামরিক গুপ্তচর উপগ্রহ পরিদর্শন করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এবং তার মেয়ে কিম জু য়ে। ছবি : আলজাজিরা
দেশের প্রথম সামরিক স্পাই স্যাটেলাইট বা গুপ্তচর উপগ্রহ পরিদর্শন করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন।
ওই স্পাই স্যাটেলাইটকে রাষ্ট্রীয় মিডিয়া ‘ভবিষ্যত কর্ম পরিকল্পনা’ হিসাবে বর্ণনা করেছে।
রাষ্ট্র পরিচালিত বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানিয়েছে, কিম মঙ্গলবার স্যাটেলাইট প্রকল্পটি পরিদর্শনের আগে স্যাটেলাইটটির উন্নয়নে নেতৃত্ব দানকারী কমিটির সঙ্গে দেখা করেন।
এ সময় কিম বলেন, ‘সামরিক গোয়েন্দা স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণ দেশের বিদ্যমান নিরাপত্তা পরিবেশের জরুরি প্রয়োজন।’
তবে, স্যাটেলাইটটি কবে, কখন উৎক্ষেপণ হতে পারে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি কেসিএনএ।
উত্তর কোরিয়ার নেতা গত মাসে যখন ঘোষণা করেছিলেন যে, স্যাটেলাইটটির নির্মাণ শেষ হয়েছে।
পিয়ংইয়ং একটি নতুন কঠিন জ্বালানিচালিত আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করার প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই ঘোষণাটি আসে।
কিম পিয়ংইয়ংয়ের সামরিক শক্তিকে আধুনিকীকরণ ও অগ্রসর করার জন্য ২০২১ সালের পরিকল্পনায় মূল প্রতিরক্ষা প্রকল্পের যে রূপরেখা দিয়েছিলেন, সামরিক গোয়েন্দা উপগ্রহ তার মধ্যে একটি।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে উত্তর কোরিয়া জানিয়েছিল, তারা গুপ্তচর উপগ্রহের উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা চালিয়েছে।
তারা বলেছিল, ওই গুপ্তচর উপগ্রহের নির্মাণ কাজ এই বছরের এপ্রিলের মধ্যে শেষ হবে।
সেই সময় দক্ষিণ কোরিয়ার বিশেষজ্ঞরা পিয়ংইয়ংয়ের দ্রুত ফলাফল নিয়ে সন্দেহ উত্থাপন করেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক উত্তর কোরিয়া পর্যবেক্ষণ প্রকল্প ‘৩৮ নর্থ’ এই সপ্তাহের শুরুতে জানিয়েছিল, ‘স্যাটেলাইট চিত্রগুলো বলছে, উত্তর কোরিয়ার সোহে স্যাটেলাইট লঞ্চিং স্টেশনের লঞ্চ প্যাড এলাকায় প্রায় ছয় মাসের বিরতির পরে কাজ পুনরায় শুরু হয়েছে।’
এটি আরো জানিয়েছে, ‘সাইটটি থেকে একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ পরিচালনা করার জন্য আরও অনেক কাজ করা দরকার।’
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র কর্মসূচির সম্প্রসারণের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করতে উন্নত স্টিলথ জেট এবং বোমারু বিমান সমেত যৌথ সামরিক মহড়ার আয়োজন করেছে।
উত্তর কোরিয়া এই ধরনের মহড়াকে আক্রমণের মহড়া হিসেবে দেখে।
পিয়ংইয়ং জানিয়েছে, তার অস্ত্র কর্মসূচি তার প্রতিরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়।
সূত্র : আলজাজিরা