প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২১ মে ২০২৩ ০৮:৪৬ এএম
আপডেট : ২১ মে ২০২৩ ১১:১৬ এএম
গ্রিসে এবারের নির্বাচনে ৪ লাখ ৪০ হাজার নতুন ভোটার প্রথমবারের মতো ভোট দিতে যাচ্ছেন। ছবি : সংগৃহীত
কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হতে যাচ্ছে গ্রিসের
সাধারণ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। রবিবার (২১ মে) হতে যাওয়া এ নির্বাচনে গ্রিসের ৩০০
আসনে পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচনে ভোট দেবেন দেশটির ৯০ লাখ ভোটার।
নির্বাচনে রক্ষণশীল নিউ ডেমোক্র্যাসি পার্টির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী
কিরিয়াকোস মিৎসোতাকিস ও তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সিরিয়াজা দলের অ্যালেক্সিস সিপরাসের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার কথা রয়েছে।
গ্রিসে এবারের নির্বাচনে মূল প্রভাব ফেলবে চলমান মুদ্রাস্ফীতি ও অর্থনৈতিক
দুরবস্থা। ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের কারণে ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতোই দুর্দশায় রয়েছে
দেশটি। গত সেপ্টেম্বরে রেকর্ড ১২.১ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি স্পর্শ করে। এ ছাড়া প্রতিবেশী
তুরস্কের সঙ্গে সীমানা নিয়ে বিরোধও নির্বাচনী ইস্যুর মধ্যে রয়েছে।
এ ছাড়া শরণার্থী ইস্যুও আজকের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে
যাচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সমর্থিত নিউ ডেমোক্র্যাসি সরকার দেশের সীমান্তব্যবস্থাকে কঠোর
করেছে এবং শরণার্থীদের শহরের কেন্দ্র থেকে অনেক দূরে স্থানান্তর করেছে। তবে অনেক মানবাধিকার
গোষ্ঠী এবং অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী পর্যবেক্ষণ সংস্থা সরকারের এ কঠোর নীতির সমালোচনা
করেছে।
এবারের নির্বাচনে ৪ লাখ ৪০ হাজার নতুন ভোটার প্রথমবারের মতো ভোট দিতে
যাচ্ছেন। সংখ্যার বিচারে তরুণ ভোটারদের ভোট নির্বাচনে বড় প্রভাবক হয়ে উঠতে পারে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, খুব সম্ভব প্রথম দফার এ ভোট ঝুলন্ত
সংসদ তৈরি করবে। কারণ একক জনপ্রিয়তা কোনো দল বা প্রার্থীর নেই। যদি এমনটাই হয়, তবে
৪০ দিনের মধ্যে আবারও দ্বিতীয় রাউন্ডে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। সে ক্ষেত্রে দ্বিতীয় দফা ভোট
জুলাইয়ে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে ২০১৯-এর নির্বাচনে ক্ষমতাসীন নিউ ডেমোক্র্যাসি ৩৯.৮৫ শতাংশ ভোট পেয়ে ১৫৮টি আসনে জয়লাভ করেছিল। বিপরীতে সিরিয়াজা ৩১.৫৩ শতাংশ ভোট পেয়ে ৮৬ আসনে জয়লাভ করেছিল।
সূত্র : আলজাজিরা