প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২১ মে ২০২৩ ০৯:৫১ এএম
আপডেট : ২১ মে ২০২৩ ১০:৫৮ এএম
শহর ছাড়ছেন খার্তুমের বাসিন্দারা। ছবি : এএফপি
সুদানের সামরিক বাহিনী ও দেশটির আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট
ফোর্সেস (আরএসএফ) সাত দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এর আগে সৌদি আরবের জেদ্দায়
উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় বসেছিল।
যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের পক্ষ থেকে দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো
হয়েছে, শনিবার (২০ মে) যুদ্ধবিরতিসংক্রান্ত একটি চুক্তিতে উভয় পক্ষ একমত হয়েছে। আর
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে চুক্তি স্বাক্ষরের ৪৮ ঘণ্টা পর, অর্থাৎ স্থানীয় সময় সোমবার
রাত ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে।
এর আগে বেশ কয়েকবার দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতি চুক্তি করলেও পরে
তা লঙ্ঘন করা হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব এবারের চুক্তি সম্পর্কে বিশদ বিবরণ না
দিলেও এটি স্পষ্ট যে, চুক্তি বাস্তবায়নে উভয় পক্ষের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ থাকবে।
এ ছাড়া এ চুক্তিতে প্রয়োজনীয় নাগরিক পরিষেবার স্থাপনা, হাসপাতাল থেকে
সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি
ব্লিঙ্কেন উভয় পক্ষকে চুক্তি মেনে চলার অনুরোধ করেছেন। একই সঙ্গে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন,
বিশ্ব তাদের দেখছে।
সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর লড়াই পুরো সুদানে একটি বিশৃঙ্খল
পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। খাদ্য ও প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মজুদ দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। জনগণ
শহর ছেড়ে পালাচ্ছে। ব্যাংক লুটপাট থেকে শুরু করে বিদেশি দূতাবাসে আক্রমণ, এমনকি গির্জাগুলোয়ও
হামলা করা হয়েছে।
এদিকে শনিবারও (২০ মে) দক্ষিণ ওমদুরমান ও
খার্তুম উত্তরে প্রত্যক্ষদর্শীরা বিমান হামলার খবর জানিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন,
ওমদুরমানে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থার কাছে বেশ কয়েকটি হামলা
হয়েছে। ওমদুরমানের
আল-সালহা পাড়ায় বসবাসকারী ৩৩ বছর বয়সি সানা হাসান বলেন, ‘আজ
(শনিবার) সকালে আমরা ভারী কামানের গোলার মুখোমুখি হয়েছিলাম। আমাদের পুরো বাড়ি
কাঁপছিল। এটা ভয়ংকর ছিল। সবাই তাদের বিছানার নিচে শুয়ে ছিল। যা ঘটছে তা
দুঃস্বপ্ন।’
খার্তুমে পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে শান্ত ছিল, যদিও এখানে বিক্ষিপ্ত গুলির শব্দ শোনা গেছে। ১৫ এপ্রিল শুরু হওয়া এ সংঘাত প্রায় ১০ লাখ মানুষকে অভ্যন্তরীণ এবং প্রতিবেশী দেশগুলোয় বাস্তুচ্যুত করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সুদানে প্রায় ৭০৫ জন নিহত এবং কমপক্ষে ৫ হাজার ২৮৭ জন আহত হয়েছেন।
সূত্র : আলজাজিরা