প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২১ মে ২০২৩ ১৮:১৪ পিএম
আপডেট : ২১ মে ২০২৩ ১৮:৩৬ পিএম
জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট সালোমে জোরাবিচভিলি। ২২ মে ২০২২, রাজধানী তিবিলিসিতে। ছবি : সংগৃহীত
জর্জিয়া এয়ারওয়েজ নিজ দেশের প্রেসিডেন্ট সালোমে জোরাবিচভিলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। রাশিয়ার সঙ্গে ফ্লাইট চলাচল পুনরায় শুরু করার সমালোচনা করায় জোরাবিচভিলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল দেশটির বেসরকারি কোম্পানি পরিচালিত জাতীয় উড়োজাহাজ সংস্থাটি।
রবিবার (২১ মে) রুশ সংবাদমাধ্যম তাসের বরাতে রয়টার্স জানায়, প্রতিবেশী জর্জিয়ার সঙ্গে প্রায় চার বছর সরাসরি উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ রাখে রাশিয়া। চলতি মাসে সেই নিষেধাজ্ঞা বাতিল করা হয়। তা ছাড়া এখন থেকে ভিসা ছাড়াই জর্জিয়ার নাগরিকেরা রাশিয়া সফর করতে পারবেন। এক সময় এই নিয়ম থাকলেও গত এক দশকে তা বন্ধ ছিল।
রাশিয়ার ইতিবাচক সিদ্ধান্তের পর দেশটির সঙ্গে সরাসরি উড়োজাহাজ চলাচলের ঘোষণা দেয় জর্জিয়া এয়ারওয়েজ। কিন্তু প্রেসিডেন্ট সালোমে জোরাবিচভিলি সিদ্ধান্তটি বাতিলের অনুরোধ জানান।
আর এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন জর্জিয়া এয়ারওয়েজের প্রতিষ্ঠাতা তামাজ গাইয়াসভিলি। তিনি বলেছেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানে প্রেসিডেন্টকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়েছে। যত দিন তিনি ক্ষমা না চাইবেন তত দিন অবাঞ্ছিত হিসেবেই থাকবেন।
২০১৯ সালে জর্জিয়ায় রাশিয়াবিরোধী বিক্ষোভ দেখা দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রাশিয়া দেশটির সঙ্গে সরাসরি বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়। কিন্তু মাত্র কয়েক দিন আগেই হঠাৎ করে রাশিয়া এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। এরপর দুই দেশের সরকার আবারও বিমান চলাচল শুরু করে।
তবে ২০০৮ সালে রাশিয়া সেনাবাহিনীর মাধ্যমে জর্জিয়ার বড় একটি অংশ দখল করায় দেশটির অনেক মানুষ রাশিয়ার ওপর ক্ষুব্ধ হন। আর এ কারণে দেশটির সঙ্গে সরাসরি বিমান চলাচলের বিরোধিতা করেছিলেন অনেকে। তাদেরই একজন রাষ্ট্রপতি সালোমি জোরাবিচভিলি। তবে অনেকে আবার এর পক্ষেও মত দিয়েছেন।
বর্তমানে জর্জিয়ায় যে সরকার ক্ষমতায় আছে তারাও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর দিচ্ছে। এমনকি ইউক্রেনে হামলা চালানোয় পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও, জর্জিয়া এতে সাড়া দেয়নি।
সূত্র : রয়টার্স