সরকার ও সেনাবাহিনী আমার দলকে ধ্বংস করতে চায় : ইমরান খান

সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমার কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল অসিম মুনির ও প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সরকার আমার পার্টিকে ধ্বংস করতে চায়। এজন্য তারা সবকিছু করছে। 

শনিবার (২০ মে) আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এসব অভিযোগ করেছেন। 

ইমরান খান বলেন, ’তার (সেনাপ্রধান) সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে আমার কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু আমার বিষয়ে তার ব্যক্তিগত আক্রোশ রয়েছে। তিনি যেকোনো মূল্যে আমাকে ক্ষমতায় যাওয়া থেকে বিরত রাখতে চান। তিনি কেন এমন করছেন, তা আমার জানা নেই।’

প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সম্পর্কে ইমরান খান বলেন, ’তিনি সেনাবাহিনীর পুতুল ছাড়া কিছু নন। নিজের বুদ্ধিতে দেশ চালানোর মতো সক্ষমতা তার নেই।’ 

৯ মের পর থেকে তার দলের অন্তত সাড়ে সাত হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে দলের শীর্ষ নেতা রয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন ইমরান খান। 

লাহোরে নিজের বাসভবন থেকে আল-জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইমরান খান বলেন, ’আমার বিরুদ্ধে ১৫০টা মামলা করা হয়েছে। আমাকে যেকোনো সময় গ্রেপ্তার করা হতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, যে দাবি নিয়ে আমরা আন্দোলন শুরু করেছি, তাকে তো আর দাবিয়ে রাখা যাবে না।’ 

জিওনিউজ জানায়, রবিবার শাহবাজ শরিফ ফের বলেছেন, ৯ মের পর যারা সেনাবাহিনীর কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে, মার্শাল ল’র অধীনে তাদের বিচার হবে। এটা নিয়ে দেশটিতে নতুন করে উত্তেজনা বিরাজ করছে। 

১২ মে ইমরানের দুই সপ্তাহের তথা ২৬ মে পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি)। তার আগে ৯ মে ওই আদালত প্রাঙ্গণ থেকেই ইমরানকে গ্রেপ্তার করেছিল দেশটির ন্যাশনাল অ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)। আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

ইমরানের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ দেখা দেয়। পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে অন্তত ১০ বিক্ষোভকারী নিহত হয়। গ্রেপ্তার করা হয় প্রায় ২ হাজার। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পাঞ্জাবে নামানো হয় সেনাবাহিনী। 

এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে ১২ মে আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইমরানের দুই সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করে আইএইচসি। পরবর্তীতে তা ৩১ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। 

সূত্র : আল-জাজিরা