প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৩ ১০:০০ এএম
আপডেট : ২৬ মে ২০২৩ ১১:৩৩ এএম
(ওপরে সর্ব বাঁ থেকে) পিটিআইপ্রধান ইমরান খান, সাবেক ফার্স্ট লেডি বুশরা বিবি, পিটিআইয়ের নেতা মুরাদ সাইদ, হাম্মাদ আজহার, ইয়াসমিন রশিদ ও আসাদ কায়সার। ছবি : সংগৃহীত
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানসহ তার দলের ৬০০ নেতাকর্মীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পাকিস্তানের গণমাধ্যম জিওনিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, ৯ মে’র ঘটনার জন্য পিটিআইয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবা হচ্ছে।
মন্ত্রীর এ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই ইমরান ও তার দলের নেতাকর্মীদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার খবর গণমাধ্যমে আসে।
এর আগে পাকিস্তানের আরেক গণমাধ্যম দ্য ডন জানায়, পুলিশ বিভাগ প্রাদেশিক অ্যাসেম্বলির তিন সাবেক সদস্যসহ ২৪৫ জন পিটিআই কর্মীর নাম ফেডারেল সরকারের কাছে প্রভিশনাল ন্যাশনাল আইডেন্টিফিকেশন লিস্টে (পিএনআইএল) অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পাঠিয়েছে, যাতে তারা দেশ ছেড়ে যেতে না পারে।
অন্যদিকে রাওয়ালপিন্ডি জেলা পুলিশ তাদের ওয়ান্টেড তালিকায় প্রায় ৩১৯ জনের নাম দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ মে) লাহোর পুলিশ ৭৪৬ পিটিআই নেতার বিদেশ ভ্রমণে এক মাসের জন্য নো-ফ্লাই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিল। রাওয়ালপিন্ডি পুলিশের অনুরোধে তা বাড়িয়ে ৯৯১ করা হয়। অর্থাৎ পিটিআইয়ের আরও নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।
৯ মে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রতিবাদে তার সমর্থকরা দেশটির বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর চালায়। ভাঙচুর চালানো হয় সেনাবাহিনীর নানা স্থাপনায়। এমনকি রাওয়ালপিন্ডির সেনা সদর দপ্তরেও পিটিআই নেতাকর্মীরা ভাঙচুর চালান।
ইতোমধ্যে ইমরান খানকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে তার জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।
কিন্তু সেনাবাহিনীর কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় সামরিক আইনে বিচার করার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও সেনাপ্রধান আসিম মুনির।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতারা সামরিক বিচারের মুখোমুখি হতে পারেন। সামরিক বিচার এড়াতেই পিটিআই নেতারা দলত্যাগ করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র : জিওনিউজ