প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৩ ১৫:৪৪ পিএম
আপডেট : ২৬ মে ২০২৩ ১৯:৪১ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর কী করা উচিত বা উচিত না সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বক্তব্য নেই। তবে দেশটির আগামী সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ দেখতে চায় ওয়াশিংটন। বাংলাদেশের নাগরিকদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত নতুন ভিসানীতিকে স্বাগত জানানোয় ওয়াশিংটন খুশি হয়েছে বলেও জানিয়েছে দেশটি।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এসব কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগের ওয়েবসাইটে সংবাদ সম্মেলনের বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করতে দাঁড়িয়ে বলেন, প্রথমেই আমি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। কারণ আপনি বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি অত্যন্ত স্পষ্ট এবং জোরালো বার্তা দিয়েছেন। আমি বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতির কথা বলছি। আপনি বলেছেন, বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হতে বাধা দিলে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। আপনার ঘোষণা দেওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেও একই বিষয়ে টুইট করেছেন। আর আপনার ঘোষণার পরে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুও একই বিষয়ে একটি টক শোতে কথা বলেছেন।
তবে আপনি যেমনটা বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করার জন্য সরকার, বিরোধী দল এবং অন্য সবার দায়িত্ব রয়েছে। তার মানে কি এই যে, আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য আপনি বিরোধী দলকেও আহ্বান জানাচ্ছেন?
জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোন রাজনৈতিক দলের কী করা উচিত বা কী করা উচিত নয়, সে বিষয়ে আমি কোনো কথা বলব না। আমি যেটা বলব, তা হচ্ছে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। আর এ কারণেই আমরা গতকাল বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুতে নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছি।
এ কর্মকর্তা আরও বলেন, গতকাল (বুধবার, ২৪ মে) যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে যে ঘোষণা আমরা দিয়েছি, সেটাকে বাংলাদেশ সরকার স্বাগত জানিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের এই মনোভাবে আমরা আনন্দিত। আমরা বিশ্বাস করি, শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার অগ্রগতির জন্য গণতন্ত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
যুক্তরাষ্ট্রের এই মুখপাত্র বলেন, এই কারণেই আমরা নতুন ভিসানীতির ঘোষণা দিয়েছি। উভয় দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।
এর আগে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের স্বার্থে এক নতুন ভিসানীতির কথা ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বুধবার (২৪ মে) এ ঘোষণা দেন।
নতুন ভিসানীতিতে বলা হয়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো ব্যক্তি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের প্রক্রিয়া ব্যাহত করার জন্য অভিযুক্ত হলে বা ওই রকম চেষ্টা করেছেন বলে প্রমাণিত হলে, যুক্তরাষ্ট্র তাকে ভিসা দেওয়ার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা, সরকার-সমর্থক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সদস্যরাও এর আওতায় পড়বেন।