সোমালিয়ায় শান্তিরক্ষা মিশন ঘাঁটিতে আল-শাবাবের হামলা

আল-শাবাব বিদ্রোহীরা সোমালিয়ায় আফ্রিকান ইউনিয়ন শান্তিরক্ষা মিশনের উগান্ডার বাহিনীর একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা করেছে।  

হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আল-শাবাব এবং এক সোমালি অধিনায়ক।

রাজধানী মোগাদিশু থেকে ১৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে বুলমারেরে শুক্রবার (২৬ মে) সোমালিয়ায় আফ্রিকান ইউনিয়ন ট্রানজিশন মিশনের (এটিএমআইএস) ঘাঁটিতে হামলা চালায় আল-শাবাব বিদ্রোহীরা।

উগান্ডা পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের (ইউপিডিএফ) ডেপুটি মুখপাত্র ডিও আকিকি বলেছেন, ‘আজ (শুক্রবার) সকালে আমাদের ঘাঁটিতে আল-শাবাব হামলা করেছে। আমরা এটিএমআইএস সদর দপ্তর থেকে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগের জন্য অপেক্ষা করছি।’

এটিএমআইএসের এই ঘাঁটিতে ২২ হাজার সেনা রয়েছে বলে জানা গেছে। 

বিশদ বিবরণ না দিয়ে এটিএমআইএস টুইটারে জানিয়েছে, মিশনটি ২০২২ সাল থেকে সোমালিয়ার ফেডারেল সরকারকে আল-কায়েদা-সংযুক্ত সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহায়তা করে আসছে।

এদিকে আল-শাবাব এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, তারা আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়ে ১৩৭ সেনাকে হত্যা করেছে।

কিন্তু হতাহতের সংখ্যা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করেনি সোমালিয়া কর্তৃপক্ষ।

লোয়ার শাবেল অঞ্চলের আবদুল্লাহি নামে একজন সোমালি ক্যাপ্টেন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, বিদ্রোহীরা একটি এটিএমআইএস ঘাঁটি এবং সোমালি সামরিক বাহিনী-সংলগ্ন একটি ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘এটি কয়েক ঘণ্টা ধরে একটি ভয়ংকর যুদ্ধের সূচনা করেছিল। আল-শাবাবসহ উভয় পক্ষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’

শহরের বাসিন্দারা জানান, প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ও ভারী অস্ত্রের শব্দে তারা জেগে ওঠেন। 

শহরটির বাসিন্দা রুকিয়া ফারাহ বলেন, ‘এখন আমরা শহরে আল-শাবাব দেখতে পাচ্ছি। আমরা জানি না কতজন মারা গেছে। আমরা এখন এটিএমআইএস এবং সরকারের কাছ থেকে কোনো কথা শুনতে পাচ্ছি না।’

২০০৬ সাল থেকে আল-শাবাব সোমালিয়ায় ইসলামিক আইনের কঠোর ব্যাখ্যার ভিত্তিতে সরকার পতন এবং নিজস্ব শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছে।

সূত্র : আল-জাজিরা