প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৭ মে ২০২৩ ০৮:৪৫ এএম
আপডেট : ২৭ মে ২০২৩ ১০:৫৮ এএম
গত সপ্তাহে হামলার সময় বেলগোরোদ অঞ্চলে ফেলে যাওয়া ইউক্রেনীয় বাহিনীর সামরিক যান। ছবি : সংগৃহীত
রাশিয়ার ইউক্রেন সীমান্তবর্তী অঞ্চল বেলগোরোদে আবারও ইউক্রেনীয় সেনারা
হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ। শুক্রবারের (২৬ মে) এ হামলায় আর্টিলারি,
মর্টার ও ড্রোন ব্যবহার করেছে ইউক্রেন।
বেলগোরোদের গভর্নর ব্যাচেস্লাভ গ্ল্যাডকভ জানিয়েছেন, ইউক্রেনীয় সীমান্ত
থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে গ্রেয়ভরন শহরে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী গোলাবর্ষণে চারটি বাড়ি, একটি স্টোর, একটি গাড়ি ও গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এর কয়েক ঘণ্টা আগে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করে নেওয়া ক্রিমিয়া
উপদ্বীপের পাশের একটি অঞ্চলে হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছেন অঞ্চলটির রুশ কর্মকর্তারা।
এর আগে ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে গত সপ্তাহের শুরুর
দিকে রাশিয়ার ভেতরে এই বেলগোরোদ অঞ্চলেই সবচেয়ে বড় হামলা চালানো হয়।
এদিকে রুশ বাহিনীও মধ্য ইউক্রেনের দিনিপ্রো শহরের একটি হাসপাতালে
হামলা করেছে বলে দাবি ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের। এতে দুজন নিহত ও ২০ জন আহত
হয়েছেন। আহতের মধ্যে দুই শিশুও রয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি
হাসপাতালে হামলার ঘটনাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এ ছাড়া ইউক্রেন আরও দাবি করেছে, রাশিয়ার সেনারা এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র
দিয়ে দোনেৎস্ক অঞ্চলের পূর্বে কার্লিভকা জেলার একটি বাঁধে হামলা চালিয়েছে। এ ধরনের হামলা
অঞ্চলটিতে বন্যার ঝুঁকি তৈরি করছে।
বেলগোরোদ অঞ্চলে ইউক্রেনের হামলার ঘটনা প্রায় নিয়মিত হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিপ্রেক্ষিতে ক্রেমলিন কর্তৃপক্ষ আইন পরিবর্তন করে সেখানে বসবাসকারীদের হাতে অস্ত্র দিতে চাইছে। বেলগোরোদ অঞ্চলের ৩ হাজার সক্ষম বাসিন্দাকে নিয়ে আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠন করতে চাইছে তারা।
সূত্র : আলজাজিরা