ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৩ ১৭:৩৪ পিএম
আপডেট : ০৩ জুন ২০২৩ ১৭:৩৮ পিএম
করমণ্ডল এক্সপ্রেসের যাত্রী মুকেশ পণ্ডিত। ৩ জুন তোলা। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের ওড়িশায় শুক্রবারের ত্রিমুখী ট্রেনের সংঘর্ষ ছিল দেশটির কয়েক দশকের ইতিহাসে ভয়াবহতম। এখনও ঘটনার প্রকৃত কারণে জানা যায়নি। চলছে নানা জল্পনা। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ওঠে আসছে ঘটনার বিভিন্ন দিক।
টুটু বিশ্বাস নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেন, একটি বিকট শব্দ শোনে আমি ঘর থেকে বেরিয়ে আসি। বের হয়ে একটি মালবাহী ট্রেনকে আরেকটি যাত্রীবাহী ট্রেনের ওপর ওঠে যেতে দেখি।
টুটু বলেন, ঘটনাস্থলের আরো কাছে গেলে অসংখ্য মানুষকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে হতাহত অবস্থায় দেখি। এক পাশে একটা শিশুকে কাঁদতে দেখি। মনে হল দুর্ঘটনায় শিশুটি মাতা-পিতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে কিংবা তারা মরা গেছেন। একটু পর শিশুটিও মারা গেল।
গিরিজা শংকর রথ নামের আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, জীবনে আমি এত বড় দুর্ঘটনা আর দেখিনি। এত প্রচণ্ড শব্দ আর শুনিনি। চারদিকে ধোঁয়া আর ধোঁয়া। দেখলাম যে যেদিকে পারে দৌড়াচ্ছে। আবার কিছু লোক ঘটনাস্থলের দিকে যাচ্ছিল। আমিও সেদিকে গেলাম। আমরা অনেক আহত ও নিহত ব্যক্তিকে বগির নিচ থেকে টেনে বের করি।
সারা রাত উদ্ধার কাজ করে ক্লান্ত গিরিজা শংকর বলেন, এমন ভয়ংকর ঘটনা আর না ঘটুক। আমার মাথা এখনো ঘুরছে।
মুকেশ পণ্ডিত নামের এক ব্যক্তি বলেন, দুর্ঘটনার সময় আমি করমণ্ডল ট্রেনে ছিলাম। প্রথমে হালকা একটা ঝাঁকুনি লাগে। তারপর ট্রেনটা লাইনচ্যুত হয়। মুহূর্তের মধ্যে জোরে বেশ কিছু শব্দ হয়। ট্রেনটি উল্টে যায়। আমি বগির নিচে চাপা পড়ি। প্রায় আধঘণ্টা পর স্থানীরা আমাকে উদ্ধার করেন।
শুক্রবারের ওই ত্রিমুখী দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত অন্তত ২৮৮ জন নিহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে। আহত হয়েছেন ৯০০ জনের বেশি।
সূত্র: বিবিসি