প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২৩ ১০:৪৭ এএম
আপডেট : ০৪ জুন ২০২৩ ১১:০৮ এএম
শাংরি-লা ডায়ালগে বক্তব্য দিচ্ছেন চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শাংফু। ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের যেকোনো সংঘর্ষ বিশ্বের জন্য অসহনীয় বিপর্যয়
ডেকে আনবে উল্লেখ করে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শাংফু বলেছেন, তার দেশ যুক্তরাষ্ট্রের
সঙ্গে সংলাপ চায়।
রবিবার (৪ মে) সিঙ্গাপুরে আয়োজিত শীর্ষ পর্যায়ের নিরাপত্তা সম্মেলন
শাংরি-লা ডায়ালগে বক্তব্য দেওয়ার সময় চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবস্থা যে আলাদা ও তাদের
কার্যাবলির অনেক উপায়ও যে ভিন্ন তা মেনে নিয়ে লি বলেন, ‘চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের
একসঙ্গে বেড়ে ওঠার জন্য বিশ্ব যথেষ্ট বড়।’
গত মার্চে চীনের জাতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হওয়ার পরে
প্রথম আন্তর্জাতিক কোনো মঞ্চে ভাষণ দিলেন লি শাংফু।
শাসনব্যবস্থার ভিন্নতার দিকে ইঙ্গিত করে তার ভাষণে লি শাংফু আরও বলেন,
‘দ্বিপাক্ষিক
সম্পর্ক বাড়াতে ও সহযোগিতা গভীর করার জন্য উভয় পক্ষেরই অভিন্ন ভিত্তি ও অভিন্ন স্বার্থ
খোজা থেকে বিরত থাকা উচিত নয়। এটি অনস্বীকার্য যে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তীব্র
সংঘাত বা সংঘর্ষ বিশ্বের জন্য একটি অসহনীয় বিপর্যয় নিয়ে আসবে।’
সম্প্রতি তাইওয়ান প্রণালিতে উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও
কানাডাকে দায়ী করেছে চীন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন শনিবার
(৩ মে) সিঙ্গাপুরের একই সম্মেলনে নিরাপত্তা সভায় দেওয়া বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে
সামরিক বিষয়ে আলোচনা না করার জন্যে চীনের কঠোর সমালোচনা করেছেন।
অস্টিন বলেন, ‘আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যে পিআরসি (পিপলস
রিপাবলিক অব চায়না) আমাদের দুই সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংকট ব্যবস্থাপনার জন্য আরও ভালো
ব্যবস্থার বিষয়ে গুরুত্ব দিতে ইচ্ছুক নয়। আমরা যত বেশি কথা বলব, তত বেশি সংঘাতের দিকে
নিয়ে যেতে পারে এমন ভুল বোঝাবুঝি বা ভুল হিসাব এড়াতে পারব।’
সম্প্রতি তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা
দিয়েছে। দুই দেশের বিমানবাহিনীরও মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত
দ্বীপ তাইওয়ানকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে মনে করে চীন। এক চীন নীতির আলোকে যুক্তরাষ্ট্রও
তা স্বীকার করে। তবে যে কোনো ধরনের জোরপূর্বক সংযুক্তির বিরোধিতা করে ওয়াশিংটন। এমনকি
তাইওয়ানকে রক্ষায় সামরিক সংঘাতেও পিছপা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে তারা।
এ ছাড়া সেমিকন্ডাক্টর চিপ ইস্যুতে বাইডেন প্রশাসন চীনের ওপর বিধিনিষেধ
আরোপ করায় দুই দেশের সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে।
সূত্র : আল জাজিরা