প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২৩ ১৭:২২ পিএম
আপডেট : ০৬ জুন ২০২৩ ১৭:৩৮ পিএম
ট্রাম্পের সঙ্গে মাইক পেন্স। ছবি : সংগৃহীত
ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট
হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মাইক পেন্স এবার নিজেই তার সাবেক বস ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দাঁড়ালেন।
যুক্তরাষ্ট্রে সামনের বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি রিপাবলিকান দল থেকে প্রেসিডেন্ট
মনোনয়নের জন্য তার প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন।
একই দল থেকে আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন।
চূড়ান্ত মনোনয়নের পর কেবল একজনই ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেন।
পেন্স ফেডারেল ইলেকশন কমিশনের কাছে এরই মধ্যে তার কাগজপত্র জমা দিয়েছেন।
বুধবার (৭ জুন) তার ৬৪তম জন্মদিনে আইওয়া অঙ্গরাজ্যের
ডেস মইনসে আয়োজিত এক ইভেন্টে চূড়ান্ত মনোনয়নের জন্য তার প্রচারণা শুরু করবেন।
এর আগে ২০১৬ সালে ইন্ডিয়ানার গভর্নর থাকা অবস্থায় ট্রাম্প তাকে প্রেসিডেন্ট
নির্বাচনে রানিংমেট হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। তবে ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গার সময়
ট্রাম্পের সঙ্গে তার মতবিরোধের বিষয়টি স্পষ্ট হয়। দুজনের সম্পর্কে সে সময় যে ভাটা
পড়েছিল, পরে আর তার অবসান হয়নি।
পেন্স পরে জানান, সে সময় ট্রাম্প তাকে নির্বাচনী ফল উল্টে দিতে চাপ
প্রয়োগ করেছিলেন। ট্রাম্প এ ব্যাপারে বেপরোয়া ছিলেন। আর ট্রাম্প উল্টো পেন্সের বিরুদ্ধে
বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ আনেন।
মতবিরোধ থাকলেও ট্রাম্পের মতোই যুক্তরাষ্ট্রে রক্ষণশীল রাজনীতির
পরিচিত মুখ মাইক পেন্স। তিনি তীব্রভাবে অ্যাবরশন বা গর্ভপাতবিরোধী। তবে প্রেসিডেন্ট
পদে চূড়ান্ত মনোনয়নের ক্ষেত্রে সাবেক বস ট্রাম্প তার একমাত্র বাধা নয়। তাকে লড়তে হবে
ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস, সিনেটর টিম স্কট, নর্থ ডাকোটার গভর্নর ডগবারগাম ও
সাউথ আমেরিকার সাবেক গভর্নর নিকি হ্যালির সঙ্গে।
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান