প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১২ জুন ২০২৩ ১৭:১৪ পিএম
আপডেট : ১২ জুন ২০২৩ ১৮:২৯ পিএম
২০২১ সালের জুনে প্যারিসে ইউএন উইমেন আয়োজিত জেনারেশন ইক্যুয়ালিটি ফোরামে অংশগ্রহণকারীরা (ফাইল ফটো)। ছবি : সংগৃহীত
জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি ১০ জন নারীর মধ্যে ৯ জন পক্ষপাতিত্বের শিকার হচ্ছেন।
জেন্ডার সোশ্যাল নর্মস ইনডেক্সের (জিএসএনআই) অনুসন্ধানে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে।
জেন্ডার সোশ্যাল নর্মস ইনডেক্স বলেছে, এক দশকেরও আগে সংগৃহীত তথ্যের বিপরীতে এ তথ্য অপরিবর্তিত।
সোমবার (১২ জুন) ইউএন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম দ্বারা প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ৮০টি দেশের অর্ধেক মানুষ বিশ্বাস করে যে পুরুষরা ভালো রাজনৈতিক নেতা তৈরি করে, ৪০ শতাংশ বিশ্বাস করে পুরুষরা ভালো ব্যবসায়িক নির্বাহী এবং এক চতুর্থাংশ বিশ্বাস করে যে পুরুষ কর্তৃক তার স্ত্রীকে মারধর করা ন্যায়সঙ্গত।
ইউএনডিপির মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন অফিসের প্রধান পেড্রো কনসিসাও বলেছেন, ‘আমার প্রত্যাশা ছিল যে আমরা কিছু অগ্রগতি দেখতে পাব। কিন্তু তা পাইনি। প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন মানে পরিস্থিতি আগামী দিনে আরও খারাপ হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমবার যখন আমরা এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলাম, তখন আমি নারীর বিরুদ্ধে পক্ষপাতের মাত্রায় হতবাক হয়েছিলাম এবং এবার আমি অগ্রগতির অভাব নিয়ে হতবাক হলাম।’
এদিকে গবেষকরা বলেছেন, এই পক্ষপাতিত্বের ফলে রাজনীতি, ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে নারীদের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। নারীরা আগের চেয়ে বেশি শিক্ষিত এবং দক্ষ হওয়া সত্ত্বেও পুরুষদের সঙ্গে তাদের বেতনের ব্যবধান ৩৯ শতাংশ।
অক্সফাম জিবির গবেষণাপ্রধান আনাম পারভেজ বলেছেন, ‘এটি সত্যিই উদ্বেগজনক এবং ব্যাখ্যা করে যে কেন বিশ্ব ২০৩০ সালের মধ্যে লিঙ্গসমতা অর্জনের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে পিছিয়ে রয়েছে ৷ ২০২১ সালে প্রতি পাঁচজন নারীর মধ্যে একজনের ১৮ বছর বয়সের আগেই বিয়ে হয়েছিল। ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন নারী ও মেয়েরা প্রতিদিন ৫.৫০ ডলারেরও কম খরচে জীবনধারণ করে এবং নারীরা সারা বিশ্বে পুরুষদের তুলনায় তিনগুণ বেশি অবৈতনিক যত্ন ও গৃহস্থালির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন৷’
লুডভিগ ম্যাক্সিমিলিয়ান ইউনিভার্সিটি মিউনিখের লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হেইডি স্টকল বলেছেন, ‘পক্ষপাত কাটিয়ে উঠতে প্রয়োজন সমাজের সব স্তর থেকে একটি সচেতন প্রচেষ্টা এবং দৃঢ় প্রতিশ্রুতি। তবে বাংলাদেশের মতো জায়গায় শিক্ষার হার বৃদ্ধি এবং রাজনীতি ও অর্থনীতিতে নারীদের উচ্চতর প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে অগ্রগতির লক্ষণ রয়েছে।’
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে সমাজে নারীদের অর্থনৈতিক অবদানকে আরও ভালোভাবে স্বীকৃত করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে, যার মধ্যে অবৈতনিক কাজসহ রাজনৈতিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য আইন ও ব্যবস্থা প্রণয়ন করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
সূত্র : গার্ডিয়ান