প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৮ জুন ২০২৩ ১৫:০৪ পিএম
আপডেট : ১৮ জুন ২০২৩ ১৫:০৫ পিএম
বালিয়া জেলা হাসপাতালে স্ট্রেচারের অভাব রয়েছে, এমন অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত
বৈশ্বিক উষ্ণতার জেরে পুরো বিশ্বেই তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর প্রভাবের
বাইরে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোও নয়। সম্প্রতি ভারতে অধিক তাপমাত্রায় হিট স্ট্রোকে মৃত্যুর
ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এমন ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার পরিস্থিতিতে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা
হয়েছে, গত তিন দিনে উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলার হাসপাতালে ৫৪ জন মারা গেছেন এবং প্রায়
৪০০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বালিয়া জেলা হাসপাতালের মেডিক্যাল ইনচার্জ এসকে জাদব জানিয়েছেন, ১৫
জুন ২৩ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে, ১৬ জুন সংখ্যাটি ১৫ ও শনিবার (১৭ জুন) মারা গেছেন ১১
জন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মৃত্যুর বিভিন্ন কারণ থাকলেও প্রচন্ড গরমই আসলে
বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে। গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা
বাড়ছে।
জেলা হাসপাতালে রোগীদের এতো চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে যে স্ট্রেচার না পাওয়ারও
অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। অনেকেই তাদের রোগীদের কাঁধে করে জরুরি ওয়ার্ডে নিয়ে যাচ্ছেন। অতিরিক্ত
স্বাস্থ্য পরিচালক অবশ্য দাবি করেছেন যে পর্যাপ্ত স্ট্রেচার রয়েছে, যদিও একই সঙ্গে
১০ জন রোগী এলে সমস্যা হয় বলে স্বীকার করেছেন তিনি।
আজমগড় সার্কেলের অতিরিক্ত স্বাস্থ্য পরিচালক ডা: বিপি তিওয়ারি বলেছেন,
‘যদি এমন কোনো
রোগ থেকে থাকে যা শনাক্ত করা যাচ্ছে না, তা বের করতে লখনৌ থেকে বিশেষজ্ঞ দল আসছে।’
শ্বাসকষ্টের রোগী, ডায়বেটিসের রোগী ও রক্তচাপ জনিত সমস্যা যেসব রোগীদের
রয়েছে, খুব গরম বা ঠান্ডা আবহাওয়া তাদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। তিওয়ারির মতে, পারদ
কিছুটা বাড়লেই তা এসব রোগীদের জন্য মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
উত্তর প্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক জানিয়েছেন, সরকার বালিয়ার
ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে। তিনি ব্যক্তিগতভাবে সেখানকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ
করছেন।
মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, সঠিক তথ্য ছাড়াই তাপপ্রবাহে মৃত্যুর বিষয়ে
অসতর্ক বিবৃতি দেওয়ার অভিযোগে বালিয়ার প্রধান মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট ডাঃ দিবাকর
সিংকে তার পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া পরিচালক স্তরের দুজন সিনিয়র ডাক্তারকে
ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই অঞ্চলের সব চিফ মেডিক্যাল অফিসারদের
অবিলম্বে প্রতিটি রোগীকে চিহ্নিত করা ও যথাযথ চিকিৎসা সেবা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া
হয়েছে। সব ওষুধ সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাওয়া যায় এবং কোনো রোগীকে বাইরে থেকে কিনতে
হয় না। আমি নিজেই এটি পর্যবেক্ষণ করছি।’
ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি গুরুতর তাপপ্রবাহ প্রবাহিত হয়েছে, প্রদেশের
বেশিরভাগ জায়গায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির ওপর দেখা যাচ্ছে।
সূত্র : এনডিটিভি