প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২৩ ১১:৩১ এএম
আপডেট : ১৯ জুলাই ২০২৩ ১১:৫৬ এএম
উত্তর কোরিয়ার আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ছবি : সংগৃহীত
উত্তর কোরিয়া বুধবার ভোরে আরও দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সামরিক বাহিনী। ৪০ বছর পর দক্ষিণ কোরিয়ার জলসীমায় যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক শক্তিধর একটি সাবমেরিন আসার এক দিন পর এ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল কিম জং উনের দেশ।
বুধবার (১৯ জুলাই) জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো জাপানের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে গিয়ে পড়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ (জেসিএস) উত্তর কোরিয়াকে ওই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।
জেসিএসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা উত্তর কোরিয়ার উস্কানিমূলক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তাদের এ কার্যক্রম কোরিয়া উপদ্বীপ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করছে। এটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা সাংবাদিকদের বলেন, প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি ৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় উঠে ৫৫০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত যায়। দ্বিতীয়টি ৫০ কিলোমিটার ওপরে উঠে ৬০০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত যায়।
দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়ুনহাপ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া নিউক্লিয়ার কনসালটেটিভ গ্রুপের (এনসিজি) প্রথম বৈঠকে মিলিত হওয়ার পরই নতুন করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া।
এনসিজির লক্ষ্য হলো দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর কোনো হুমকি এলে পারমাণবিক অস্ত্রসহ সব সামরিক শক্তি ব্যবহার করে তাদের রক্ষা করা।
ইয়ুনহাপ আরও জানায়, এনসিজির বৈঠকের দিনই দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় বন্দর বুসানে নোঙর করেছে পারমাণবিক সাবমেরিন ইউএসএস কেন্টাকি। ১৯৮১ সালের পর যা দক্ষিণ কোরিয়ার মাটিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম পারমাণবিক সাবমেরিন আসার ঘটনা।
সিউলের ইয়ুহা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বিষয়ের প্রফেসর লেইফ-এরিক এসলে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবমেরিন আসা ও এনসিজির বৈঠকটি উত্তর কোরিয়া ভালোভাবে নেয়নি। উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছুড়ে তারা সেটিই বোঝাতে চেয়েছে।
উত্তর কোরিয়া এক সপ্তাহ আগে তাদের শক্তিশালী হোয়াসোং-১৮ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। পিয়ংইয়ং জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের প্রতি একটি সতর্কতা।
সূত্র : আলজাজিরা