পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিক্ষোভ
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২৩ ১৬:৫২ পিএম
আপডেট : ১৯ জুলাই ২০২৩ ১৭:০৭ পিএম
নাইরোবিতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ চলছে। ১৯ জুলাই তোলা। ছবি : সংগৃহীত
কেনিয়ায় বুধবার তিন দিনের সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। করহার ও পণ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে চলমান বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা রাইলা ওডিঙ্গা। বিক্ষোভের প্রথম দিনই রাজধানী নাইরোবি ও পাশের দুটি অঞ্চলে স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
বুধবার (১৯ জুলাই) সকাল থেকে নাইরোবির কয়েকটি কেন্দ্র ও শহরতলিতে কিছু কিছু বিক্ষোভকারী জড়ো হন। শহরতলি কেনগেমিতে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। সেখানে বিক্ষোভকারীরা আশ্রয় নিলে একটি স্কুলে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। এতে তিন স্কুল শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের পাশের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কিবেরাত নামক শহরতলিতেও পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। সেখানেও কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ।
উভয় ঘটনায় বেশ কিছু বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু গ্রেপ্তারের সংখ্যা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, গত আগস্টে ক্ষমতা গ্রহণ করেই জ্বালানির ভর্তুকি বাতিল করে প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো সরকার। ফলে ভুট্টার আটার মতো নিত্যপণ্যের দাম হুহু করে বেড়ে যায়। তা ছাড়া করহারও বাড়ানো হয়েছে।
বুধবার বিক্ষোভ বিরোধীদের করতে দেওয়া হবে না বলে ইতঃপূর্বে ঘোষণা দিয়েছিলেন রুটো। রুটোর দাবি, আগের সরকারের বিপুল ঋণ টানতে হচ্ছে তাকে। এ জন্য জ্বালানির ভর্তুকি বাতিল ও করহার না বাড়িয়ে কোনো উপায় ছিল না।
২০১৩ সালে রুটোর পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তা ক্ষমতা গ্রহণকালে পূর্ব আফ্রিকার দেশটির বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। গত আগস্টে তার অফিস ছাড়ার সময় তা ৬ হাজার ১০০ কোটি ডলারে পৌঁছে। চলতি বছরের শেষে এর সঙ্গে আরও ১৪০ কোটি ডলার যুক্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চলতি মাসের শুরুতে কেনিয়ায় দুই দফায় বিক্ষোভ হয়। তখন অন্তত ১৫ বিক্ষোভকারী নিহত হন। গ্রেপ্তার হন কয়েকশ।
সূত্র : রয়টার্স, আলজাজিরা