প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০২৩ ১৬:২৭ পিএম
আপডেট : ২০ জুলাই ২০২৩ ১৬:৫০ পিএম
হেনরি কিসিঞ্জার (বাঁয়ে) ও শি জিনপিং। ২০ জুলাই বেইজিংয়ের দিয়াওয়ুতাই রাষ্ট্রীয় অতিথিশালায়। ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জার বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বেইজিংয়ে বৈঠক করেছেন। শতবর্ষী কিসিঞ্জারকে আমন্ত্রণ জানাতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করেছেন শি। আর এই বয়সে চীন সফর করতে পেরে আবেগে আপ্লুত হয়েছেন কিসিঞ্জার।
বৈঠকে কিসিঞ্জারকে শি বলেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র ফের আরেকটি অচলাবস্থায় পৌঁছেছে। এখন নিজেদের সম্পর্ক এগিয়ে নিতে দেশ দুটিকে আরেকবার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
কিসিঞ্জারের মতো প্রবীণ বন্ধুদের চীন ভোলে না জানিয়ে শি বলেন, চীনা জনগণ তাদের প্রবীণ বন্ধুদের কখনও ভোলে না। চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের সঙ্গে কিসিঞ্জারের নাম অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। কিসিঞ্জারকে বাদ দিয়ে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নিয়ে কোনো আলোচনাই হতে পারে না।
১৯৪৯ সালে চীনের কমিউনিস্ট বিপ্লবের পর বেইজিং-ওয়াশিংটনের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক একধরনের বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৭১ সালের জুলাইয়ে কিসিঞ্জারের গোপন চীন সফরের মধ্য দিয়ে বরফে জমে যাওয়া সেই সম্পর্ক উষ্ণ হতে শুরু করে। সেই সফরে বেইজিংয়ের দিয়াওয়ুতাই রাষ্ট্রীয় অতিথিশালায় চীনা এক নেতার সঙ্গে সর্বপ্রথম বৈঠক করেছিলেন কিসিঞ্জার। বৃহস্পতিবার সেই একই ভবনে শি’র সঙ্গে বৈঠক করেন কিসিঞ্জার।
বৈঠকে কিসিঞ্জার শি’কে বলেন, বিশ্ব শান্তি ও মানবজাতির অগ্রগতির জন্য আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ কথা আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে।
পাঁচ দশকের বেশি সময় দুই মেরুর এই দুই দেশের সম্পর্ক মোটামুটি সুস্থ ছিল বলা যায়। সম্প্রতি তা ফের অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বাণিজ্য যুদ্ধ, চিপ ও প্রযুক্তি খাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা, বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যক্তির ওপর পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞাসহ নানা কারণে দুই দেশের সম্পর্ক ১৯৭১ সালের পর ফের তলানিতে এসে ঠেকেছে।
এ অবস্থা সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের উপর্যুপরি চীন সফর করতে দেখে গেছে। জুনে বেইজিং সফর করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। একই মাসে বিশ্বের শীর্ষ দুই ধনকুবের ইলন মাস্ক ও বিল গেটসও বেইজিং সফর করেন।
চলতি মাসের শুরুতে বিশেষ এজেন্ডা নিয়ে চীন ঘুরে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি বা অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন। ১৯ জুলাই তিন দিনের বেইজিং সফর শেষ করেছেন বাইডেনের জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি।
কিসিঞ্জার বৃহস্পতিবার চীনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শাংফুর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন।
সূত্র : রয়টার্স, সিএনএন