টাইফুন ডকসুরির আঘাত
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২৩ ১৪:২২ পিএম
আপডেট : ০২ আগস্ট ২০২৩ ১৫:৩৪ পিএম
চীনের ফুজিয়ান প্রদেশের ফুঝোতে টাইফুন ডকসুরির আঘাতে বন্যা দেখা দিয়েছে। ২৯ জুলাই প্রদেশটির ফুকিং শহরে। ছবি : সংগৃহীত
ফিলিপাইনে গত সপ্তাহে আঘাত হানা শক্তিশালী টাইফুন ডকসুরি বর্তমানে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছে। ফলে শহরটিতে কয়েক দিনে গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে। রেড অ্যালার্টে থাকা বেইজিংয়ের ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে ৩১ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
রবিবার দিবাগত রাতে বেইজিংয়ের সর্বত্র গড়ে ১৪০ দশমিক ৭ মিলিমিটার (৫ দশমিক ৫ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ সময় বেইজিংয়ের ফাংশান এলাকায় সর্বোচ্চ ৫০০ দশমিক ৪ মিলিমিটার (১৯ দশমিক ৭ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত হয়েছে।
চীনের আবহাওয়া অফিস সোমবার (৩১ জুলাই) সকালে বেইজিংয়ের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছে। তবে ডকসুরির আঘাতে চীনে এখন পর্যন্ত প্রাণহানির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
আলজাজিরার এক প্রতিবেদেন বলা হয়, টাইফুন ডকসুরি চীনের ইতিহাসে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়গুলোর একটি। এ টাইফুনের কারণে বেইজিংসহ দেশটির উত্তরাঞ্চলে কয়েক লাখ মানুষ ভারী বৃষ্টিজনিত নানা সমস্যায় পড়তে পারে। এজন্য সেখানে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিতে নাকাল চীন
জানা গেছে, কয়েক দিনে বেইজিংয়ের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে ৩১ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বেইজিংয়ের পাশের শিজিয়াজুয়াং শহর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে আরও প্রায় ২০ হাজার।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) চীনের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ১৭৫ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে ডকসুরি। ডকসুরির আঘাতে বেইজিংয়ের ৪ হাজারের বেশি প্রকল্পের নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। টাইফুনটির আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে প্রায় ২০ হাজার ভবন।
ডকসুরিকে প্রাথমিকভাবে সুপার টাইফুন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। কারণ এটি চলতি সপ্তাহের শুরুতে প্রশান্ত মহাসাগরজুড়ে ছড়িয়ে ছিল। তবে ফিলিপাইনে আঘাত হানার কারণে তীব্রতা কিছুটা হ্রাস পায়। ফিলিপাইনে ১২ জনের বেশি লোক মারা যায়।
সূত্র : আলজাজিরা