প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০২ আগস্ট ২০২৩ ১৩:৫৪ পিএম
আপডেট : ০২ আগস্ট ২০২৩ ১৫:৩৩ পিএম
নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছে মানুষ। ১ আগস্ট হেবেই প্রদেশের ঝুওঝু শহরে। ছবি : সংগৃহীত
চীনের বিভিন্ন শহরে গত শনিবার, ২৯ জুলাই থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। বুধবার (২ আগস্ট) পর্যন্ত দেশটিতে ৭৪ কোটি ৪৮ লাখ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, যা ১৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
রেকর্ড বৃষ্টিপাতের ফলে দেশটির বিভিন্ন শহরে বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যায় বুধবার সকাল পর্যন্ত অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আরও ২৭ জন।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে দেশটির সরকার। মঙ্গলবার চলমান দুর্যোগের উদ্ধার তৎপরতার জন্য অতিরিক্ত এক কোটি ৫০ লাখ ডলার বরাদ্দা দেওয়া হয়েছে। আক্রান্ত শহর ও গ্রামে কাজ করছে হাজার হাজার উদ্ধারকর্মী। এ পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ মানুষকে নিরাপদস্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মঙ্গলবার আক্রান্ত সব প্রদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সর্বাত্মকভাবে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
রয়টার্স জানায়, চীনে বুধবার সকাল পর্যন্ত পূর্ববর্তী ৪০ ঘণ্টায় যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তা দেশটি সারা জুলাই মাসে সাধারণ যে পরিমাণ বৃষ্টি হয় প্রায় তার সমান।
আরও পড়ুন: বেইজিং থেকে সরিয়ে নেওয়া হলো ৩১ হাজার মানুষ
গত সপ্তাহে টাইফুন ডকসুরি ফিলিপাইনে আঘান হানে। গত শনিবার তা চীনে আঘাত হানতে শুরু করে। শক্তিশালী টাইফুনটির জেরে চীনে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
চীনের রাজধানী বেইজিং ও সেটার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোতে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া ফুজিয়ান প্রদেশেও ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। তবে বুধবার বিকাল থেকে বৃষ্টি কমে আসতে পারে বলে পূর্বাভাস করেছে দেশটির আহ্বাওয়া অধিদপ্তর।
আধুনিক চীনে স্মরণকালের ভয়াবহতম বন্যাটি দেখা দিয়েছিল ১৯৯৮ সালের গ্রীষ্মে। তখন ইয়াংসি নদী প্লাবিত হয়ে চার হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। বাড়ি-ঘর হারিয়েছিল প্রায় এক কোটি ৫০ লাখ মানুষ।
২০২১ সালে হেনান প্রদেশের ঝেংঝো শহরেও একটি বড় ধরনের বন্যা দেখা দিয়েছিল। তখন ৩০০ এর বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল।
সূত্র : আলজাজিরা, রয়টার্স