ব্রাজিলের মাদকবিরোধী অভিযানে নিহত ৪৫

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলের তিনটি প্রদেশে মাদক চক্র লক্ষ করে চালানো পুলিশি অভিযানে ৪৫ জন নিহত হয়েছেন।

রাজধানী রিও ডি জেনেরিওতে চালানো সবশেষ অভিযানে পুলিশ বলেছে, দা পেনহা কমপ্লেক্স এলাকায় মাদক চোরাচালানকারীদের গুলির বিপরীতে পুলিশও পালটা গুলি ছোড়ে। সেখানে ১০ জন নিহত হয়েছেন। এ অভিযানে এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ চারজন আহত হয়েছেন।

মিলিটারি পুলিশ বলছে, তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল দ্য পেনহায় মাদক পাচার চক্রের হোতাদের একটি সভা হবে। তার ভিত্তিতেই সেখানে অভিযান চালানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তারা সেখানে উভয় পক্ষের গোলাগুলিরই শব্দ পেয়েছেন। এ অভিযানের সময় আশপাশের স্কুলগুলোর বাচ্চাদেরও সরিয়ে নেওয়া হয়।

এর আগে অপারেশন শিল্ড নামে অভিহিত সাও পাওলো রাজ্যে পাঁচ দিনের পুলিশি অভিযানের সময় সংঘর্ষে ১৬ জন নিহত হন। রাজ্যটিতে আরও ৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার এক সাক্ষাৎকারে সাও পাওলো প্রদেশের গভর্নর তারসিসিও ডি ফ্রেইতাস বলেছেন, মাদক চোরাচালানকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে দুজন পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হয়েছেন।

এ ছাড়া উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ বাহিয়ার স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার (২৮ জুলাই) থেকে চলা অভিযানে এখন পর্যন্ত ১৯ জন সন্দেহভাজন মাদক চোরাচালানকারী নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, চলতি অভিযানে পুলিশ ৩৮৫ কেজি মাদকসহ অস্ত্র জব্দ করেছে।

গত সপ্তাহে উপকূলীয় শহর গুয়ারুজাতে বিশেষ বাহিনীর একজন পুলিশ কর্মকর্তা সন্দেহভাজন মাদক চোরাকারবারিদের হাতে নিহত হলে এ অভিযান শুরু করা হয়।

যদিও এ অভিযানের সমালোচনা করেছেন খোদ দেশটির বিচারমন্ত্রী ফ্লাভিও ডিনো। তিনি বলেছেন, পুলিশের প্রতিক্রিয়া সংঘটিত অপরাধের সমানুপাতিক ছিল না।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, পুলিশের অভিযান ‘একজন পুলিশ অফিসারের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়ার স্পষ্ট লক্ষণ’ দেখিয়েছে।

ব্রাজিলের মিলিটারি পুলিশের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ বেশ পুরোনো। সম্প্রতি তাদের পোশাকে ক্যামেরা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে কোনো অন্যায় করলে তাকে জবাবদিহির আওতায় আনা যায়। এতে দেখা গেছে, মিলিটারি পুলিশের হাতে নিহতের সংখ্যা ৬১ শতাংশ কমে গেছে। 

সূত্র : বিবিসি