মাদক মামলা
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৩ ১৫:০৩ পিএম
আপডেট : ০৩ আগস্ট ২০২৩ ১৫:৪৯ পিএম
সিঙ্গাপুরে মাদক মামলায় গণহারে ফাঁসি কার্যকরের সমালোচনা করছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো। ছবি : সংগৃহীত
সিঙ্গাপুরে মাদক মামলায় মোহামেদ সালেহ আব্দুল লতিফ নামের এক ব্যক্তিকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দেশটির কেন্দ্রীয় মাদকদ্রব্য ব্যুরো এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আব্দুল লতিফকে নিয়ে আট দিনের মধ্যে মাদক মামলায় তিন ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকর করল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি।
৩৯ বছর বয়সি আব্দুল লতিফকে ২০১৬ সালে গ্রেপ্তার করা হয়। পেশায় ড্রাইভার লতিফের কাছে ৫৪ গ্রাম হেরোইন পাওয়া গিয়েছিল। ২০১৯ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। বুধবার রাতে চাঙ্গি কারাগারে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে আব্দুল লতিফ বলেছিলেন, আমি তো মালামাল সরবরাহ করি। এক বন্ধু আমাকে কিছু নিষিদ্ধ সিগারেট তার কাছে পৌঁছে দিতে বলেছিল। আমি তাই করছিলাম। আমি জানতাম না এতে হেরোইন রয়েছেন।
মাদকদ্রব্য ব্যুরো জানায়, আব্দুল লতিফের কাছে যে পরিমাণ হেরোইন পাওয়া গেছে, তা ৬০০ জনের বেশি মাদকগ্রহণকারী এক সপ্তাহের বেশি সেবন করতে পারবে।
সিঙ্গাপুরে মাদক মামলায় গণহারে ফাঁসি কার্যকরের সমালোচনা করছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, লঘু পাপের জন্য গুরুদণ্ড দিচ্ছে সিঙ্গাপুর। এটা মানবাধিকারের লঙ্ঘন।
কিন্তু বাকস্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর দেশটি বলছে, না, তারা যথাযথ প্রক্রিয়া বজায় রেখে দোষীদের শাস্তি দিচ্ছে। এতে সেখানে মাদকের অপব্যবহার কমছে।
একসময় নিয়মিত ফাঁসি কার্যকর করলেও করোনাকালে দুই বছর তা বন্ধ রাখে সিঙ্গাপুর। ২০২২ সালের মার্চ থেকে তা ফের শুরু করে। এরপর ইতোমধ্যে ১৬ জনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। আব্দুল লফিত নিয়ে চলতি বছর ফাঁসি দেওয়া হলো পাঁচজনকে।
২৮ জুলাই মাদক মামলায় সারিদেউই বিনতে জামানি নামের ৪৫ বছর বয়সি এক নারীকে ফাঁসি দেওয়া হয়। এটা দেশটিতে প্রায় ২০ বছর পর কোনো নারীকে ফাঁসি দেওয়ার প্রথম ঘটনা। তার কাছে ৩০ গ্রাম হেরোইন পাওয়া গিয়েছিল।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) ৫৭ বছর বয়সি মো. আজিজ বিন হুসাইন নামের আরেক ব্যক্তিকেও ফাঁসি দেওয়া হয়। তার কাছে ৫০ গ্রাম হেরোইন পাওয়া গিয়েছিল।
সূত্র : আলজাজিরা, গার্ডিয়ান