প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৩ ১০:০৭ এএম
আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০২৩ ১০:৫৮ এএম
জ্ঞানবাপী মসজিদ। ছবি : সংগৃহীত
ভারতে হরিয়ানায় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার মধ্যেই এলাহাবাদে অবস্থিত জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে আবারও বিভক্ত দেশটির হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়।
মসজিদটি হিন্দু মন্দির ধ্বংস করে তৈরি করা হয়েছে, এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২১ জুলাই চার নারী আদালতে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার আবেদন জানিয়ে পিটিশন দাখিল করেছিলেন।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে এলাহাবাদের উচ্চ আদালত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে, বৈজ্ঞানিক
সমীক্ষার আলোকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এটি আদৌ মন্দিরের ওপর নির্মিত কি না।
ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ (এএসআই) এ-সংক্রান্ত কাজ শুরু করেছে।
দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপি উচ্চ আদালতের এ রায়কে স্বাগত জানিয়েছে।
বিজেপি নেতারা বলছেন, এর মাধ্যমে সাইটে মন্দির সম্পর্কে তথ্য এখন বেরিয়ে আসবে।
এর আগে ২৪ জুলাই বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছিল। সে সময়
জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটি সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করলে তা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই
স্থগিত করা হয়। কারণ সুপ্রিম কোর্ট মসজিদের অভ্যন্তরে অজুখানায় জরিপ নিষিদ্ধ করেছিলেন।
অজুখানার একটি কাঠামোকে আবেদনকারীরা শিবলিঙ্গ বলে দাবি করে থাকেন।
এ ছাড়া অজুখানার দিকে মুখ করা মসজিদের একটি দেয়ালে নন্দীমূর্তির মুখ আছে বলে দাবি
করে থাকেন হিন্দুত্ববাদীরা।
মসজিদ কমিটির যুক্তি ছিল, এ কাঠামোটি ১ হাজার বছরের বেশি পুরোনো।
যেকোনো খনন কাজ এর কাঠামোর দৃঢ়তা নষ্ট করতে পারে। এ ছাড়া ধর্মীয় স্থাপনার আশপাশে
এ-জাতীয় কোনো জরিপ বিদ্যমান আইনেরও লঙ্ঘন।
যদিও হিন্দু আবেদনকারীরা দাবি করে থাকেন, এ স্থানে আগে একটি মন্দির
ছিল। ১৭ শতকে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব মন্দিরটি ধ্বংস করে সেখানে মসজিদ নির্মাণ করেন।
জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে বিতর্ক নতুন কিছু নয়। এর আগেও ২০২১ সালে মসজিদ
চত্বরে মূর্তি আছে দাবি করে সেখানে পূজা করতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেন পাঁচ নারী।
সে সময় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে মসজিদ চত্বরে সেন্ট্রাল রিজার্ভ ফোর্স (সিআরএফ) সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।