প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০২৩ ১৫:০৪ পিএম
আপডেট : ০৯ আগস্ট ২০২৩ ১৫:৩১ পিএম
নতুন তহবিল বরাদ্দ স্থগিত করায় উগান্ডায় বিশ্বব্যাংকের চলমান বিভিন্ন কর্মসূচি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ছবি : সংগৃহীত
উগান্ডা সম্প্রতি এলজিবিটিকিউ বিরোধী একটি আইন পাস করেছে। প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দেশটির জন্য নতুন কোনো তহবিল বরাদ্দ দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। কারণ এ ধরনের আইন ব্যাংকটির মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কিন্তু আন্তর্জাতিক ঋণদান প্রতিষ্ঠানটির সিদ্ধান্তকে হটকারিতা বলে মন্তব্য করেছে পূর্ব আফ্রিকার দেশটি।
বিশ্বব্যাংকের বিবৃতিতে বলা হয়, উগান্ডার সমকামিতাবিরোধী আইন বিশ্বব্যাংকের মৌলিক মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিশ্ব থেকে দরিদ্র দূর করার আমাদের যে কর্মসূচি রয়েছে তা একমাত্র তখনই সম্ভব হতে পারে যখন জাতি, বর্ণ, লিঙ্গ ও যৌনতা নির্বিশেষে সব ধরনের মানুষকে এটার আওতায় আনা যাবে। এ অবস্থায় নতুন পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত উগান্ডার জন্য নতুন কোনো তহবিল বরাদ্দ দেওয়া হবে না। নতুন পদক্ষেপের বিষয়ে উগান্ডার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে।
রয়টার্স জানায়, গত মে মাসে সমকামিতাবিরোধী আইনটি পাস করে উগান্ডা। আইনটি পাস করার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে বিশ্বব্যাংকের একটা প্রতিনিধিদল ছুটে যায়। আইনটি কার্যকর থাকলে সেখানে বিশ্বব্যাংকের কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হবে, তা নিয়ে তারা একটা মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরি করেন। এতে আইনটা সরাসরি বাতিলের কথা বলা হয়নি। তবে সমাজের কোনো অংশ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য দেশটিকে নতুন পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করে।
বিশ্বব্যাংকের নতুন প্রেসিডেন্ট অজয় বঙ্গ জুন মাসে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার এক মাস আগেই উগান্ডা আইনটি পাস করে। এরপর উগান্ডার ওপর চাপ তৈরি করতে, এমনকি তহবিল বন্ধ করতে অজয় বঙ্গের কাছে অনুরোধ আসতে থাকে।
গত ১৫ জুন উগান্ডার নাগরিক সমাজের ১৭০ জন প্রতিনিধি অজয় বঙ্গের কাছে একটি চিঠি লেখেন। এতে এলজিবিটিকিউ বিরোধী আইন করায় দেশটির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।
এদিকে বিশ্বব্যাংকের তহবিল স্থগিতের তীব্র সমালোচনা করেছে উগান্ডা। দেশটির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ওকেলো ওরিয়েম বলেন, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার অনেক দেশে সমকামিতাবিরোধী অনেক বেশি কঠোর আইন রয়েছে। এসব দেশের কোনো কোনোটিতে সমকামিতার অপরাধে ফাঁসি পর্যন্ত দেওয়া হয়। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের কিছু রাজ্যেও এলজিবিটিকিউ বিরোধী কঠিন আইন রয়েছে। কিন্তু শাস্তি দেওয়া হলো কেবল উগান্ডাকে। কিন্তু কেন? এটা কপটতা।
২০২২ সালের শেষ পর্যন্ত উগান্ডার জন্য ৫৪০ কোটি ডলার তহবিল বরাদ্দ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতসহ বিভিন্ন প্রকল্পে এসব অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে। নতুন তহবিল বরাদ্দ বন্ধ করায় এসব প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সূত্র : রয়টার্স