প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৩ ১৯:৫৪ পিএম
আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২৩ ২০:০৮ পিএম
একটি সামরিক বিমান পরিদর্শন করছেন জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। ২০২২ সালের কোনো একদিন। ছবি : সংগৃহীত
মিয়ানমারের জান্তাকে লক্ষ্য করে আরও কিছু নতুন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এবার জান্তাকে বিমানের জ্বালানি সরবরাহকারী বিদেশি কোম্পানি ও স্থানীয় সহযোগীদের নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। এতে করে ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার চাপে পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। বুধবার (২৩ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় (ট্রেজারি বিভাগ) এ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে।
জান্তাকে বিমানের জ্বালানি বা জেট ফুয়েল সরবরাহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তি হলেন খিন ফিউ উইন ও জাও মিন তুন। যেসব বিদেশি কোম্পানি মিয়ানমারের জান্তাকে জেট ফুয়েল সরবরাহ করে সেসবের মধ্যে তিনটির মালিক এই দুই ব্যক্তি।
ট্রেজারি বিভাগের সন্ত্রাসবাদ ও অর্থনৈতিক গোয়েন্দা বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান নেলসন এক বিবৃতিতে বলেন, মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার বিদ্রোহ দমনে বিমানবাহিনীর ব্যবহার ক্রমশ বাড়াচ্ছে। সাধারণ জনগণের বিক্ষোভকে দমন করতে একের পর এক বিমান হামলা চালাচ্ছে। আমাদের এই নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য হলো—বিমানের জ্বালানির জন্য জান্তা যেসব উৎসের ওপর নির্ভর করে, সেসব থেকে তাদের বঞ্চিত করা।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন সরকারকে উচ্ছেদ করে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন। অভ্যুত্থানের পর গঠিত সামরিক সরকারের প্রধানের পদেও রয়েছেন তিনি।
জান্তার ক্ষমতা দখলের পর থেকেই সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু করে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি জনগণ। সেই বিক্ষোভ দমনে প্রথম দিকে রাবার বুলেট, জলকামান, তারপর আগ্নেয়াস্ত্র এবং বর্তমানে বিমানবাহিনীকে ব্যবহার করছে জান্তা। আন্তর্জাতিক ও মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার তথ্যানুসারে জান্তা ক্ষমতা দখলের পর থেকে এ পর্যন্ত সরকারি বাহিনীর সহিংসতায় দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৪ হাজার মানুষ।
সূত্র : দ্য ডিপ্লোম্যাট