× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

১৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত হংকং

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৪:২১ পিএম

আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৪:২২ পিএম

হঠাৎ অতিবৃষ্টির কারণে হংকংয়ের অনেক রাস্তাÑঘাট ডুবে গেছে। ৮ সেপ্টেম্বর তোলা। ছবি : সংগৃহীত

হঠাৎ অতিবৃষ্টির কারণে হংকংয়ের অনেক রাস্তাÑঘাট ডুবে গেছে। ৮ সেপ্টেম্বর তোলা। ছবি : সংগৃহীত

হংকংয়ে কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত পূর্ববর্তী এক ঘণ্টায় অঞ্চলটিতে এত বেশি বৃষ্টি হয়েছে, যা রেকর্ড। স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চলটির ইতিহাসে গত ১৪০ বছরের এত অল্প সময়ে এত বিপুল বৃষ্টি আর কখনো হয়নি। 

স্থানীয় আহ্বাওয়া কেন্দ্র হংকং অবজারভেটরি জানায়, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত পূর্ববর্তী এক ঘণ্টায় ১৫৮ দশমিক ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ১৮৮৪ সালে অঞ্চলটিতে বৃষ্টিপাতের হিসাব রাখা শুরু পর থেকে এক ঘণ্টায় এতটা বৃষ্টি আর কখনো হয়নি। 

অতিবৃষ্টির কারণে সেখানকার পাহাড়ি ও অপেক্ষাকৃত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রমিকদের কাজে না গিয়ে বাসায় অবস্থান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

বৃষ্টিতে হংকংয়ের প্রধান প্রধান প্রায় সব সড়ক ডুবে গেছে। জলমগ্ন হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রস্থল, শপিং মল এবং মেট্রো স্টেশন। কোনো কোনো স্থানে ভূমিধসের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। 

অবজারভেটরি সতর্কবার্তায় জানায়, অতিবৃষ্টির কারণে আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে। তারা যারা নদী তীরবর্তী অঞ্চলে বাস করেন, তাদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজনে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে। অন্যদিকে শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর বিকাল পর্যন্ত ‘বৃষ্টিঝড়’ চলতে পারে বলেও সতর্ক করেছে আহ্বাওয়া সংস্থাটি। 

হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী জন লি বড় ধরনের বন্যা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সরকারের সব বিভাগকে দুর্যোগ মোকাবিলায় সমন্বিতভাবে কাজ করতে আহ্বান জানয়েছেন তিনি। 

গত মঙ্গললবার (৫ অক্টোবর) টাইফুন হাইকুই প্রতিবেশী তাইওয়ান ও চীনের ফুজিয়াম প্রদেশে আঘাত হানে। 

তার আগে সম্প্রতি দক্ষিণ চীনের কয়েকটি প্রদেশে শৌলা নামেরও একটি টাইফুন আঘাত হানে। এসব হংকংয়ে সরাসরি আঘাত না হানলেও বর্তমান অতিবৃষ্টির জন্য ওই টাইফুন দুটিকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

আহ্বাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় বেড়েছে। এসব ঝড়ের ফলে অতিবৃষ্টি ও প্রচণ্ড বাতাস প্রবাহিত হয়। ফলে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। বিপুল ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে উপকূলীয় অঞ্চল। 

সূত্র : আলজাজিরা


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা