প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:৩৭ পিএম
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:৩৫ পিএম
গীতা মেহতা। ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতিবেদক ও বিখ্যাত লেখিকা গীতা মেহতা মারা গেছেন। গীতা ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের বড় বোন। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিল্লির নিজ বাসভবনে ৮০ বছর বয়সে তিনি মারা যান। বার্ধক্যজনিত কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
গীতা ওড়িশার জনপ্রিয় নেতা বিজু পট্টনায়কের কন্যা। পড়াশোনা শেষ করে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এনবিসির ভারতের সংবাদদাতা হিসেবে চাকরি শুরু করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি এনবিসির সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেছেন।
যুদ্ধের খবর সংগ্রহ করতে পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার শরণার্থী শিবির সফর করেছেন গীতা। এ সময় তিনি অনেক ভিডিওফুটেজ নেন। এসব ফুটেজের অংশ বিশেষ নিয়ে পরে ‘ডেটলাইন বাংলাদেশ’ নামের একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছেন।
১৯৪৩ সালে দিল্লিতে জন্মগ্রহণকারী গীতা পরে লেখক হিসেবে বিখ্যাত হয়েছেন। তিনি ‘কর্মা কোলা’, ‘স্ন্যাক অ্যান্ড ল্যাডারস’, ‘আ রিভার সূত্র’, ‘রাজ’ এবং ‘দ্য ইটারনাল গণেশা’সহ অনেক বই লিখেছেন।
ক্যামব্রিজে পড়াশোনা করার সময় সনি মেহতার সঙ্গে গীতার পরিচয় হয়। ১৯৬৫ সালে তারা বিয়ে করেন। সনি প্রকাশনা সংস্থা আলফ্রেড এ নফ প্রতিষ্ঠা করেন। তাদের আদিত্য সিং মেহতা নামের এক সন্তান রয়েছে।
২০১৯ সালে গীতাকে পদ্মশ্রী পুরস্কার দেওয়া হয়। এটি ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার। গীতা এই পুরস্কার নিতে অস্বীকার করেন। পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের কারণ জানিয়ে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ভারত সরকার আমাকে পদ্মশ্রীর জন্য যোগ্য মনে করায় আমি কৃতজ্ঞ। কিন্তু খুব দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, এই সম্মান আমি নিতে পারব না। কারণ এমন সময়ে (নির্বাচনের মৌসুমে) এ ধরনের পুরস্কার গ্রহণ আমাকে নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে।
গীতা মেহতার প্রয়াণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ দেশটির প্রথম সারির সব নেতা শোক প্রকাশ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (টুইটার) মোদি লেখেন, প্রখ্যাত লেখিকা শ্রীমতি গীতা মেহতা জির মৃত্যুতে আমি শোকাহত। তিনি ছিলেন বহুমুখী একজন ব্যক্তিত্ব। লেখালেখির পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতি তার জ্ঞান এবং আবেগের জন্য তিনি পরিচিত। তিনি প্রকৃতি এবং পানি সংরক্ষণের বিষয়েও বিশেষ সচেতন ছিলেন।
সূত্র : স্ত্রলডটইন, এনডিটিভি