শিখ নেতা হত্যা
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২:১৬ পিএম
আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:২৯ পিএম
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার গুরু নানক শিখ মন্দিরের প্রাঙ্গণে শিখ নেতা হরদীপ সিংকে হত্যা করা হয়। ছবি : সংগৃহীত
কানাডায় শিখ নেতা হরদীপ সিং হত্যাকাণ্ডের পেছনে ভারতের কোনো যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে কানাডার গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। কানাডার স্থানীয় সময় সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে পার্লামেন্টে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তদন্তে সহায়তার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এ মাসের শুরুর দিকে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছেও গভীর উদ্বেগ জানান ট্রুডো।
হরদীপ সিং কানাডার নাগরিক ছিলেন। তাকে গত ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের সারে শহরে গুরু নানক শিখ মন্দিরের বাইরে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই সময় ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন ও নিন্দার জন্ম দেয়।
সোমবার পার্লামেন্টে জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘কানাডার মাটিতে একজন কানাডিয়ান নাগরিককে হত্যার সঙ্গে বিদেশি সরকারের সম্পৃক্ততা আমাদের সার্বভৌমত্বের অগ্রহণযোগ্য লঙ্ঘন।’
অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, কানাডায় কোনো সহিংসতায় ভারত সরকারের জড়িত থাকার অভিযোগ অযৌক্তিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আইনের শাসনের দৃঢ় অঙ্গীকারসহ ভারত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।
এদিকে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি জানান, ভারতীয় এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে কানাডা সরকার। ওই কূটনীতিক ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা।
তবে কূটনীতিকের নাম ও কখন বহিষ্কার করা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু স্পষ্ট করেননি জোলি।
কূটনীতিক বহিষ্কারের পাল্টা ও জোলির মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করে বিবৃতি দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে ভারতীয় কূটনীতিক বহিষ্কারের কয়েক ঘণ্টার মাথায় কানাডার এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে পাঁচ দিনের মধ্যে ভারত ছেড়ে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্র : আলজাজিরা।